ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আবরার হত্যা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে অপরাধ করবে সে কোন দল করে সেটা দেখি না। অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই।’ 

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও সদ্য শেষ হওয়া ভারত সফরে অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি যে তারা যেন ঐ সময়ই আলামত সংগ্রহ করে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো পুলিশ যখন সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করতে গেল তখন তাদের বাঁধা দেওয়া হলো। পুলিশ প্রধান সে সময় আমাকে জানালো যে, সিসিটিভি ফুটেজ নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরে ফুটেজটা দিয়েছে অবশ্য তাতে প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্ব হয়ছে। আমি নির্দেশ দিয়েছে যাদের সন্দেহ হবে তাদেরকেই গ্রেফতার করতে হবে। অন্যায়ভাবে একটা ছেলেকে হত্যা করা হবে আর আমরা বসে বসে দেখব তা হবে না। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

ক্যাম্পাসে হত্যার ঘটনায় শিক্ষা কর্যক্রম ব্যাহত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটলে তাতে শিক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়।’ 

বিচারের জন্য কারও দাবির জন্য অপেক্ষা করা হয় না উল্লেখ করে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিচারের জন্য কে দাবি করল বা না করল তা দেখা হয় না। অপরাধী অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। এর জন্য আলাদাভাবে বিচার চাইতে হবে না।’ 

ছাত্রলীগের অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের মধ্যে কেউ অপরাধ করলে তাকে কোনো সময়ই ছাড় দেওয়া হয়নি। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যায় যারা অংশ নিয়েছে বলে সংগঠন প্রমাণ পেয়েছে তাদেরই বহিষ্কার করেছে। আইন অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একটা ছেলে কতটুকুই বা বয়স তাকে হত্যা করা হলো। সন্তান হারা মা ও বাবা সন্তান হারানোর কষ্ট বোঝেন? আমি এ কষ্ট বুঝি।’

এরআগে, বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের ভারত অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে গত ৩ থেকে ৬ অক্টোবর এই ৪ দিনের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে অবস্থানের সময় আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার ২০১৮’ গ্রহণ করেন। তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)-এর ৭৪ তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে তিনি ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে এবার দুটি সম্মাননা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) তাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’সম্মাননায় ভূষিত করেছে। আর তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ তাকে ভূষিত করেছে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননায়।

এমএস/