ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

মণ্ডপে পাওয়া গেল নাবালিকার দেহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

সন্ধ্যায় পুজো দেখতে বের হয়েছিল নাবালিকা। নতুন জামা কাপড় পরে নবমীতে বের হয় আর লাশ পাওয়া দশমীর সকালে।

পরিবারের অভিযোগ, দশ বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ধনিরামপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে দু’জনের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত নাবালিকার বাড়ি ধনিরামপুর ২ পঞ্চায়েতের ঘাটপাড় সরুগ্রাম এলাকায়। তাদের বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরেই একটি পুজো হয়। আত্মীয়রা জানান, সোমবার, নবমীর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই পুজো মণ্ডপে গিয়েছিল নাবালিকা। সেখানে একটি নাচের প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় সে। তার পর আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। নাবালিকার পরিজনেরা অনেক খুঁজেও পাননি। 

মঙ্গলবার সকালে মণ্ডপ থেকে প্রায় দুশো মিটার দূরে একটি সেচখালের ধারে নাবালিকার দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে জটেশ্বর ফাঁড়ি ও ফালাকাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু স্নিফার ডগ এনে ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বার করে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত সেখানে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। ইতিমধ্যে নাবালিকার বাবা পুলিশের কাছে এলাকারই বাসিন্দা সঞ্জয় মল্লিক ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের দুই ভাইয়ের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নাবালিকার বাবা পেশায় দুধ বিক্রেতা। ধৃতের পরিবারের সঙ্গে তাঁর ব্যবসা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই বিবাদ রয়েছে। যার জেরে দুই পরিবারই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নাবালিকার গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। 

পুলিশের ধারণা, গলায় দড়ি বা কোনও কাপড় দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ওই তাকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে কি না জানতে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।’’ ধনিরামপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই দাস বলেন, ‘‘দ্রুত ঘটনার কিনারা করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি।’’ সূত্র: আনন্দবাজার

এসি