ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট তদন্তে সহযোগিতা করবে না হোয়াইট হাউস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪২ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট তদন্তের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন কোন রকম সহযোগিতা করছে না। ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউসও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে ইমপিচমেন্ট তদন্ত প্রক্রিয়ায় তারা কোন রকম সহযোগিতা করতে পারবে না।

ইমপিচমেন্ট তদন্ত বিষয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কাছে একটি আট পাতার চিঠি পাঠিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কৌঁসুলি প্যাট সিপোলোনি। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসাংবিধানিক। ফলে তদন্তে সহযোগিতা করতে মার্কিন প্রশাসন বাধ্য নয়। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে আমেরিকার মানুষ ভোট দিয়ে যে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন, তাঁর কাজে বাধা দিতেই এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এই বিতর্কের শুরু হয় ট্রাম্পের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে করা টেলিফোন থেকে। ওই ফোনালাপে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম প্রার্থী জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। জো-পুত্র হান্টার এক সময়ে ইউক্রেনের এক জ্বালানি সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। 

টেলিফোন কথোপকথনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ আনলেন, বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে আগামী নির্বাচনে ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন ট্রাম্প, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে এই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। 

মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্যের একটি কমিটি এই ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। একের পর এক টুইট করে এই কমিটিকে অবৈধ বলে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট নেতা-নেত্রীদেরও ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে চলেছেন তিনি। 

কিছু দিন আগে জাতিসংঘে নিয়োজিত আমেরিকার প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তদন্ত কমিটি ডেকে ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন তাতে বাধা দেয়। এই কমিটির মুখোমুখি হতেই ব্রাসেলস থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন গর্ডন সন্ডল্যান্ড নামের ওই প্রতিনিধি। শেষ পর্যন্ত তাকে আর তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয়নি।

তবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বলে আইনের ঊর্ধ্বে নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি তাঁকে হতেই হবে। মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তদন্ত কমিটি। আদালতের নির্দেশ থাকলে মার্কিন প্রশাসন তদন্তে সহযোগিতা করতে বাধ্য হবে।

এএইচ/