ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আবরার হত্যায় আলোচিত অমিত সাহা আটক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৫০ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আলোচিত নাম শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

তাকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ।

অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র।

শুরু থেকেই অমিত সাহার নাম আলোচনার শীর্ষে ছিল। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেন, অমিত সাহার বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও মামলা থেকে কেন তার নাম বাদ দেওয়া হলো।

এর আগে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহা প্রত্যক্ষ্যভাবে জড়িত। 

এ বিষয় পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ-ডিবির (ঢাকা দক্ষিণ) এডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেছিলেন, ‘বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, 'ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, কেবল তাদের নামেই মামলা হয়েছে। এর পরও তদন্ত হবে। তদন্তে যদি অমিতের সংশ্নিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।'

গত মঙ্গলবার বুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘২০১১ নম্বর কক্ষটি অমিত সাহার। ঘটনার সময় তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা আবরারকে বেদম মারধর করেন। পরে তিনিসহ অন্যরা বেরিয়ে যান।’

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। 

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। অভিযোগের সত্যতা উদ্ঘাটনে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ তাদের সংশ্লিষ্টতার পেয়েছে বলে জানিয়েছে।