ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধে হাইকোর্টে রিট 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় ওই রিটে। 

রোববার আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।
রিটে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। 

আবরার হত্যার ঘটনার পর ৯ অক্টোবর র‌্যাগিং বন্ধ ও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

সেই নোটিশে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠন এবং মনিটরিংয়ের জন্য অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড গঠনে সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। 

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণদের স্বপ্ন সিনিয়রদের র‌্যাগিংয়ের কারণে শেষ হয়ে যায়। র‌্যাগিংয়ের নামে সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে উঠবস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে  চুবানো, গাছে উঠানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ার মত ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এছাড়া, গালিগালাজ, কুৎসা রটনা, নজরদারি করা এবং নিয়মিত খবরদারির মতো নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয়। আর এসব কিছুর সর্বশেষ শিকার বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। 

রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলতে দেয়া অসাংবিধানিক। এর কোনও আইনগত ভিত্তি নেই। বুয়েটের ছাত্র আবরারের উপর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির কোনও যৌক্তিকতা নেই। রিটটির ওপর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানান এ আইনজীবী। 
আই/