ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

হেগিবিসে লণ্ডভণ্ড জাপান, নিহত বেড়ে ৩৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

ভয়াবহ টাইফুন হেগিবিসের আঘাতে লণ্ডভণ্ড জাপান। দেশটিতে আঘাত হানা ভয়ংকর এই ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই বহু মানুষের। 

এরইমধ্যে হেগিবিসকে গত ৬০ বছরে এশিয়ান জায়ান্ট দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শক্তিশালী টাইফুন হেগিবিসের আঘাতে জাপানের বিভিন্ন এলাকা এরইমধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

ঝড়টির ক্রিয়া যে ভয়ংকর হতে চলেছে, তা আগেই অনুমান করেছিলেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা। আর সেই আশঙ্কা সত্যি করেই রুদ্র রূপ ধারণ করেছে টাইফুন হেগিবিস।

শনিবার জাপানে আছড়ে পড়া হেগিবিস-এর প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে হোনশু নামক দ্বীপের ওপর। এতে দ্বীপটির বহু সংখ্যক বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত আরও শতাধিক। রোববার এ দ্বীপে ১৪৪ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ের সঙ্গে বিরামহীন বৃষ্টিতে প্রচুর ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। 

যাতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের প্রাণহানী ঘটেছে এবং প্রায় দুই শ লোক আহত হয়েছে। এছাড়াও আরও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে রোববার বিকেলে জানিয়েছে দেশটির কিয়োদো নিউজ ও এনএইচকে। 

ঝড়ের পর অনবরত বৃষ্টি আর ভূমিধসের শিকার হয়েছে দেশটির নাগানো, নীগাতা, মিয়াগি, ফুকুশিমা, ইবারাকি, কানাগাওয়া, সাইতামা শহরের অধিবাসীরা। এছাড়া তোমিওকা শহরে কয়েকজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই শহরে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু বাড়ি। সেখান থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজু দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। এর প্রভাবে সৃষ্টি হয়েছে ভূমিধস। 

স্থানীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, টোকিও উপসাগরে পানামার একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এতে ১২ ক্রু সদস্য ডুবে মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের, সাতজন চীনের এবং দু'জন ভিয়েতনামের নাগরিক।

রোববার সকালে ঝড় কিছুটা দুর্বল হলেও তার জেরে ধ্বংস কিছু কম হয়নি। বাতিল করতে হয়েছে রাগবি বিশ্বকাপের আরও একটা ম্যাচ। প্রবল বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জাপানের নাগানোতে। চিকুমা নদীর জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশপাশের এলাকা জলমগ্ন। বাড়ির তিনতলা পর্যন্ত উঠে গেছে বন্যার পানি।

উল্লেখ্য, এই মৌসুমে হেগিবিস জাপানের ১৯ তম টাইফুন। গত বছরেও ভয়ঙ্করতম সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েছিল জাপান। মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। কিন্তু এবার যেন কোনও প্রাণহানি না হয় সেজন্য আগে থেকেই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি শুরু করে দেয় জাপানের নানান বিভাগ। 

দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে ‘হেগিবিস’ এর মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই।
 
এনএস/