ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মৌসুমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন মিশা-জায়েদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। আর মাত্র অল্প কয়দিন বাকি। এর মধ্যেই অভিযোগ আসে এফডিসিতে মৌসুমীকে লাঞ্ছিত করার। 

এরপর আজ বুধবার পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আসলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। তারা মৌসুমীর বিরুদ্ধে এফডিসিতে বহিরাগত নিয়ে আসার অভিযোগ তোলেন।

এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে লেখা আছে এটা একটা অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা আছেন সবাই শিল্পী, এর বাইরে কেউ নেই। তাহলে আমাদের এখানে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের হাত ধরে বহিরাগতদের নিয়ে কেন মিছিল করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যে ৩০ বা ৪০ জন লোক পরশুদিন এখানে এসেছিল তারা সবাই আওয়ামী লীগ বা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা কেউ চাইনা যে বহিরাগত কেউ এসে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ভন্ডুল করুক। আমি বলতে চাই শিল্পীদের নির্বাচনে শুধু শিল্পীরাই থাকবে।’

এর আগে গেল সোমবার (১৪ অক্টোবর) অভিনেতা ড্যানিরাজ কর্তৃক মৌসুমীকে এফডিসিতে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর মৌসুমী বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এফডিসিতে এসেছিলাম। আমাকে শুভ কামনা জানাতে এক বড় আপা এবং কয়েকজন ভক্ত ফুল নিয়ে এফডিসিতে আসেন। তারা সমিতিতে আমার সঙ্গে সেলফি তুলে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময় ড্যানিরাজ আমার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। ভক্তদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কে?’ 

প্রসঙ্গত, এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাই আছেন অভিনেতা সুব্রত। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।