ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

আবরারের আত্মবিশ্বাস মুগ্ধ করেছিল যে তরুণীকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:০৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালযয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবারর হত্যা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করার পর তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। মামলার আসামি ১৫ জন হলেও হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকায় পুলিশ আরও ৪ জনকে আটক করেছে।

এদিকে আবরার হত্যাকাণ্ডের পর এক তরুণীর আবেগঘন স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আবরারের মৃত্যুর তিন মাস আগে  বুয়েট’১৭ ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশনস অফিসিয়াল নামে এক ফেসবুক পেজে নিজের আইডি গোপন করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছিলো।

ওই স্ট্যাটাসে তরুণী লিখেছেন তিনি আবরারের সঙ্গে শিশির ভেজা পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বুয়েট শিক্ষার্থীর এমন অকাল মৃত্যুতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ওই তরুণীর। গত ২০ জুন, ২০১৯ তারিখে সামাজিক মাধ্যমে একটি খোলা চিঠিতে নিজের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন নাম না জানা ওই তরুণী। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে,

ভাইয়া, আশা করি ভাল আছেন। আপনি আমাকে মনে রেখেছেন কি না জানি না। কিন্তু আমি আপনাকে ভালভাবেই মনে রেখেছি। আপনার ক্লাস করেছিলাম কুষ্টিয়াতে থাকতে। আপনার কথা বলার স্টাইল, আপনার আত্মবিশ্বাস আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। হাঁটবেন আমার সাথে শিশির ভেজা পথে? আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকলাম।

বুয়েট’১৭ ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশনস অফিসিয়াল নামে ওই ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে নিজের নাম পরিচয় দেননি ওই তরুণী। পোস্টের কমেন্টে বেশ কয়েকজন আবরার ফাহাদকে মেনশন করলেও তার কোনও রিপ্লাই চোখে পড়েনি।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।

এদিকে, চার মাস আগের সেই পোস্টটি নিয়ে ফেসবুকে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ১২শ বার। মন্তব্যও পড়েছে কয়েক হাজার।

অন্তু নামে একজন ওই পোস্টে কমেন্ট করেছেন, ‘শিশির ভেজা পথে হাঁটার জন্যে এ অপেক্ষার কোনও সীমা নেই। অনন্ত মহাকাশের অন্তে হারিয়ে যাওয়া যাত্রী কখনও আর ফিরে আসে না। তাই এ অপেক্ষা শেষ হবার নয়। হয়ত কোনও একদিন কোনও অচেনা জায়গায় হঠাৎ করেই সাক্ষাত হয়ে যাবে। অপেক্ষাটা শুধু সেদিনের জন্য।’

নামিরা নামে একজন লিখেছেন, ‘পোস্ট/কমেন্ট কোনোটাতেই আবরার ভাইয়ার কোনও রিয়েক্ট পর্যন্ত নাই, আহা! এমন ছেলে আছে কয়জন এই দুনিয়ায়! পৃথিবীটা আবরার ভাইয়ের জন্য উপযুক্ত ছিলো না।’

সুমন খান লিখেছেন, ‘আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, যার সাথে আপনি শিশির ভেজা পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন তাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।’

টিআর/এনএস