ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক কারবারি নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:২৪ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো আজিজ (২৪) ও রহিম উদ্দিন ওরফে রফিক (৩৭) নামের দুইজন মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার ভোররাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কের মহেশখালিয়া পাড়া নৌ ঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ও টেকনাফের উনছিপ্রাংয়ের মদিনার জোড়া সংলগ্ন নাফ নদীর তীর এলাকায় বিজিবির সঙ্গে এই পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার ছালে আহমেদের ছেলে মো. আজিজ ও টেকনাফের হোয়াইক্যং কানজর পাড়ার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে রহিম উদ্দিন ওরফে রফিক।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, আটকের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এই সময় এস আই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত ও কনস্টেবল রুমেন দাস আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক মাদক কারবারি আজিজকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ টি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্টুন ও ৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

প্রদীপ দাশ আরও জানান, নিহত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

অপরদিকে, টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান এনে নাফ নদী হয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাংয়ের মদিনার জোড়া এলাকায় দিয়ে প্রবেশ করছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় নদীর তীরে এক লোককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরে একটি নৌকায় আরও কয়কজন আসে। বিজিবির সদস্যরা তাদের নৌকা থামনোর নির্দেশ দিলে তারা বিজিবির ওপর গুলি চালায়। এ সময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালিয়ে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রহিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও দুটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার রুজু করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শঙ্কর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা দুজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির আঘাত রয়েছে এবং আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত দুই বছরের বেশি সময়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে মোট ৪৯ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়।