ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মহাশূন্যে প্রথমবার পা রাখলো নারী নভোচারী দল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

মহাশূন্যে প্রথমবারের মত পুরুষ ক্রমেট ছাড়া নারী নভোচারী দল পাঠিয়ে ইতিহাস গড়লো যুক্তরাষ্ট্র। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কর্তৃক স্পেসওয়াক বা মহাশূন্যে পদচারণায় নারী দলের এটাই প্রথম অভিযান। এর আগে কোনো নারী মহাকাশচারী স্পেসওয়াকে পা রাখলেও, সঙ্গে ছিলেন পুরুষ সহকর্মী।

ইতিহাস গড়া এ দুই নারীর নাম ক্রিস্টিনা কোচ ও জেসিকা মির।

বিকল হয়ে যাওয়া একটি পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে ৬ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন। এর আগে আরও চারবার মহাকাশে হেঁটেছেন ক্রিস্টিনা। তবে, মিরের জন্য এটাই ছিল প্রথম মহাকাশ মিশন।

ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী, গত শুক্রবার সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে এই ইতিহাস সৃষ্টি হয় বলে নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

নাসা জানায়, ক্রিস্টিনা প্রথমে আইএসএসের বাইরে পা রাখেন। এর কিছুক্ষণ পরই পা বাড়ান তার ক্রমেট জেসিকা। এর মধ্যদিয়ে মহাকাশ অভিযানে নেয়া ১৫ তম নারী হিসেবে নিজের নাম লেখান জেসিকা।

এ সময় তারা সেখানে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক পাল্টান। ফেরার সময় তারা অকেজো হয়ে যাওয়া যন্ত্রটি নিয়ে আসেন। তারা ফিরে আসা পর্যন্ত প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এ অভিযানের মধ্যদিয়ে নারীদের এক্ষেত্রে বিশেষ উৎসহ যোগাবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

ক্রিস্টিনা পেশায় একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। আর মির মেরিন বায়োলজিতে ডক্টরেট করেছেন।

এদিকে, মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো নারী দলকে পাঠানোয় নাসা ও দুই নারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সরাসরি তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন।

অভিযানে অংশ নেয়া দুই নারীকে সাহসী ও মেধাবী উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তোমরা মনোবল হারিয়ো না। গোটা বিশ্ব তোমাদের দেখছে।

উল্লেখ্য, এর আগে মহাশূন্যে হাঁটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী হলেন ক্যাথরিন সুলিভ্যান। ৩৫ বছর আগে মহাকাশে পা রাখেন তিনি। সুলিভ্যান বলেন, মহাকাশচারীদের মধ্যে মহাকাশে হাঁটার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী প্রশিক্ষিত নারী আছে জেনে সত্যিই আমি আনন্দিত। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
আই/