ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডিশ ব্যবসা দখল-হয়রানির অভিযোগ আমির বক্সের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৭ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেশ টেলিভিশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৬ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে ডিশ (ক্যাবল) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। রাজধানীর ওয়ারী, মতিঝিল, টিকাটুলি, গোপীবাগ এলাকায় ফুয়াদ ফয়সালের সঙ্গে যৌথভাবে জিটিএস ক্যাবল নামে গ্রাহকদের কাছে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ দিয়ে আসছিলাম। আমার ব্যবসা নিয়ে গ্রাহকদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও লুক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মালিক ফারজানা জুঁই তার ব্যবসা দখলের অভিযোগ তুলেছেন। যা মিথ্যা ও বানোয়াট।


রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন জিটিএস ক্যাবলের অন্যতম অংশীদার আমির বক্স মণ্ডল।

সংবাদ সম্মেলনে আমির অভিযোগ করেন, রাজধানীর ওয়ারী, মতিঝিল, টিকাটুলি, গোপীবাগ এলাকায় সলুক মিডিয়া নেটওয়ার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ডিশ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৫ সালে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে গ্রাহকরা ভালো সেবার আশায় আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। আমরা ওই সব এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করে এলেও আমাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কিন্তু হঠাৎ লুক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মালিক জুঁইয়ের অভিযোগের কারণ খুঁজে পাইনি। তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, লুক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মালিক জুঁইয়ের স্বামী মো. হারুন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে হত্যার হুমকি দিতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজির মামলা থাকায় তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন। এখন আমাদের ব্যবসা দখলে জন্য হারুন ও তার স্ত্রী জুঁই নানাভাবে চেষ্টা করছেন। এমনকি তার স্ত্রী আমাকে গ্রাহকদের দিয়ে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া জুঁই এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। আমরা তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রশাসনসহ সব মহলের সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে লুক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মালিক ফারজানা জুইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমির বক্স ও ফুয়াদ ফয়সালের সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার স্বামীর নামে কোনো চাঁদাবাজি বা হত্যা মামলা দেশের কোনো থানাতে নেই। কেউ দেখাতেও পারবেন না। আমি ফুয়াদের ও তাদের সহযোগিদের অত্যাচারে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছি।