ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ডিইউডিএস নির্বাচনে রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল বিতর্ক ক্লাবে হল প্রাধ্যক্ষ কর্তৃক নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাবের (ডিইউডিএস) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে হল থেকে ভোটার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদা সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্লাবের একাধিক বিতার্কিক।

ডিইউডিএস সূত্রে জানা যায়, ডিইউডিএসের নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে একজন ভোটার নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য হল শাখাগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। এই পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল থেকে একজন করে ভোটার নিয়োগ করা হয়। হলের প্রাধ্যক্ষ বা ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর ভোটার মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হয় ডিবেটিং ক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

হল প্রশাসন বরাবর পাঠানো চিঠিতে ‘প্রত্যেক হলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে মনোনয়ন দিতে অনুরোধ করা হয়। অথবা এর বাহিরে অন্য কাউকে মনোনীত করতে হলে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২৭ ধারা অনুসারে হল ডিবেটিং ক্লাবের সবার সর্বসম্মতিক্রমে তাকে মনোনয়ন দিতে হয়।
রোকেয়া হল বিতর্ক অঙ্গনের বর্তমান কমিটির এক বিতার্কিক অভিযোগ করেন, হল প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা ক্লাবের কাউকেই না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাহিরে সৌমি সপ্তপর্ণা নামে একজনকে ভোটার হিসেবে মনোনীত করেছেন।

ডিইউডিএসের সভাপতি এসএম রাকিব সিরাজী বলেন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট একটি চিঠি মারফৎ রোকেয়া হল থেকে একজনকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ম না। বিতার্কিকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি শুধু সেখানে স্বাক্ষর করতে পারেন।

এদিকে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ডিইউডিএস এর সাধারণ বিতার্কিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আখতারুজ্জামান এর নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে নির্বাচন কমিশনের নিকট রোকেয়ো হলকে ভোটার নির্বাচনে অতিরিক্ত সময় দেওয়া, অতিরিক্ত সময়ের পরেও কেন চিঠি গ্রহণ করা হলো ও রোকেয়া হলের ভোটার গ্রহণ করা হলে সেটি  গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়েছে কিনা তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার শান্তা তাওহীদা (ভারপ্রাপ্ত) একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে নই, নিময় মেনেই সকল সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এসি