ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সাকিবদের আলটিমেটাম, দুপুরে জরুরি সভায় বসছে বিসিবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৬ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

হঠাৎই করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাকিব-তামিম-মুশফিকসহ জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্লাবের ক্রিকেটাররা। এমনকি এ দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত খেলায় ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। যাতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে টাইগারদের আসন্ন ভারত সফর নিয়েই। এমনকি হুমকির মুখে বিপিএলও! যে কারণে বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে জরুরী সভায় বসতে যাচ্ছে বিসিবি।

এর আগে সোমবার রাতেই বিষয়টি নিয়ে বেক্সিমকোর ধানমন্ডি কার্যালয়ে বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে একটা অনানুষ্ঠানিক সভা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যেখানে বিসিবি বস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জালাল ইউনুস, মাহবুব আনামসহ বোর্ডের কয়েকজন শীর্ষ পরিচালক। 

সেখানে তারা উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন এবং আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর বোর্ডে একটা অনানুষ্ঠানিক মিটিংয়ে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে সোমবার রাতে বেক্সিমকো অফিসে বিসিবি কর্তাদের ওই অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ক্রিকেটারদের এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। রাতেই বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, তাদের ধারণা- এটা ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র।

এমনকি পুরো ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিস্মিত, হতবাক। ক্রিকেটাররা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছে, তা এমন কিছু নয় যে সমাধান করা যাবে না বা সমাধান নেই। সেগুলো অবশ্যই সমাধানযোগ্য। এসব দাবি নিয়ে বোর্ডের সাথে আন্তরিকতাপূর্ণ সংলাপ হতেই পারতো। আলোচনায় বসে এসব দাবি উত্থাপন করলে নিশ্চয়ই সমাধানের পথ বেরিয়ে যেত।’

জালাল ইউনুস আরও বলেন, ‘বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে কোনও দাবি আকারে পেশ করলেও তা নিয়ে অবশ্যই কথা হতো। কিন্তু তা না করে সরাসরি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। তাও ঘোষণা দিয়ে যে, কাল থেকেই আল্টিমেটাম- এটা কেমন হয়ে গেল না? এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। 

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, আমরাও চাই বিষয়টির মিমাংসা হোক। এজন্যই কাল (মঙ্গলবার) বোর্ডে বসবো আমরা। একটা অনানুষ্ঠানিক সভাও হবে। সেখানেই হয়ত বসে সব কিছু ঠিক হবে।’

হতাশা ও খানিকটা ক্ষোভের সাথে জালাল ইউনুস বলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের অনেক হৃদ্ধতাপূর্ণ সম্পর্ক। প্রায়ই কথা হয়। এমনকি ভারত সফরে দল নিয়েও গত এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েকবার বিসিবি প্রধানের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের কথা হয়েছে। কই তখন তো এমন কোন দাবি উত্থাপন করা হয়নি? তা করা হলে নিশ্চয়ই তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা হতো। তা না করে হঠাৎ কী এমন হলো যে রাতারাতি আল্টিমেটাম? একদম জাতীয় লিগ খেলা বাদ দিয়ে জাতীয় দলের অনুশীলন না করার ঘোষণা?’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বেতন-ভাতা বাড়ানো, বিপিএলের পারিশ্রমিক এবং এনসিএলের ম্যাচ ফি বাড়ানোর ইস্যু এমন কোন বড় কিছু না। এটা বসেই সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কিছু উটকো ইস্যুও উত্থাপিত হয়েছে। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ফেরানোর দাবি করা হয়েছে। যেটা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে এবারের মত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বিপিএল হবে না। তারপরও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।’

জালালের শেষ কথা, ‘এটা ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা এবং আমরা খুটিয়ে দেখছি কেউ বা কোন মহল ক্রিকেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছে কিনা?’

এনএস/