ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খাসীর মাংশ বলে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ধরা খেল ২ যুবক

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিয়ালের মাংসসহ ২ যুবককে আটক করেছে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ কেজি শিয়ালের মাংস ও কলিজা উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা।  

আটককৃতরা হলো- সিলেট অঞ্চলের লাখাই উপজেলার মোরাছুড়ি এলাকার মাদু মিয়ার ছেলে আজত আলী সোহেল ও একই এলাকার সাবু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২০)।

এ বিষয়ে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন যাবত তারা এই অপকর্ম করে আসছে। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরের দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এর বিশ্বরোড মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় ৩০ কেজি শিয়ালের মাংস ও ১০ কেজি কলিজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সোহেল ও সাদ্দামকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল এবং সাদ্দাম সিলেটের পাহাড়ী এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি শিয়াল ধরে জবাই করে ৪০ কেজি মাংস বস্তাবন্দি করে হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছে।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাসির মাংস বলে বিক্রি করছিল ওই দুই যুবক। শহরের কাউতলি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ছয় কেজি মাংস ও কলিজা বিক্রি করেছে তারা। সরাইল-বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বিক্রি করতে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

পরে তাদেরকে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিষ্ট্রেট উভয়কে বন্যপ্রাণী আইনে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, এই চক্রটি শিয়ালের মাংস প্যাকেটজাত করার পর তা খাসির মাংস বলে এখানকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে আসছিল। এই অপকর্মকারী চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এনএস/