ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আবরার হত্যা: দোষ স্বীকার করে আদালতে সাদাতের জবানবন্দি  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৩৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এএসএম নাজমুস সাদাত দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় তিনি সাদাতের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর নাজমুস সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। নাজমুস সাদাত জয়পুরহাট জেলার সদর থানার কড়ই উত্তর পাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে। ১৫ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন,‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ  ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

টিআর/এসি