ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে চীন-ভারতের লড়াই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী মাসে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলনেতা কেউই এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। যা শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা। কিন্তু তার চেয়েও বড় ঘটনা হচ্ছে, এই নির্বাচনের পেছনের লড়াইয়ে নেমেছে চীন ও ভারত।

দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই শ্রীলঙ্কাকে পক্ষে পাবার জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পেছনের কলকাঠি নাড়ছে শক্তিশালী দেশ চীন এবং ভারত। গোটা অঞ্চলে চীন যাতে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে লক্ষে ভারত পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। 

প্রার্থী অনেকেই রয়েছেন কিন্তু মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা আছেন দু’জন। তাঁরা হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের ভাই গোটাবায়া রাজাপক্ষে এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন ইউএনপির উপদলনেতা ও মন্ত্রী সাজিথ প্রেমদাসা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজাপক্ষেকে সমর্থন করছে চীন। আর প্রেমদাসার পক্ষে রয়েছে ভারত।

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে ভারত প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিচ্ছে প্রেমদাসাকে। গত বছর শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সঙ্কট চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন প্রেমদাসা। এছাড়া সংখ্যালঘু এবং গ্রামীণ অঞ্চলে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী গোটাবায়া রাজাপক্ষে তাঁর বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষের আমলে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রধান ছিলেন। শোনা যায়, সেই সময়ে  মাহিন্দার চার ভাইয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল অনেকগুলো মন্ত্রণালয় এবং সরকারি ব্যয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই এই চার ভাই নিয়ন্ত্রণ করতেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, গোটাবায়া রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চীনের ঋণ প্রভাব ফেলবে। সিরিসেনার সরকারের আমলেও চীনের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময় ১১০ কোটি ডলারের হাম্বানটোটা বন্দর নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নয়নের জন্য চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিল সিরিসেনা সরকার।

এএইচ/