ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ক্রিকেটারদের পক্ষে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরলেন আইনজীবী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৭:৩৭ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের পক্ষে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরলেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২ সিক্স সিজন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলে ধরেন তিনি। আইনজীবী এসময় কোয়াব কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানান।

এদিকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের কর্মকর্তারা বিসিবি কার্যালয়ে অপেক্ষায় থাকলেও আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা কোনো আলোচনায় বসেননি।

এর আগে ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি নিয়ে সৃষ্ট ধর্মঘট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বোর্ড পরিচালক ও কোয়াবের (ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয়। চলমান ইস্যু নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাদের।

বুধবার দুপুরের দিকে নাঈমুর রহমান দুর্জয় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গণভবনে যাওয়ার চেক ইন দিলে বিষয়টি সবার চোখে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিসিবিতে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এ সময় সাংবাদিকদের এই আলোচনার বিষয়টি জানান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তবে আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানাননি দুর্জয়।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে কথা বলেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও, তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চলমান ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই দুর্জয় ও বিসিবি সভাপতি গণভবনে গিয়েছিলেন।তবে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

এ সময় ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি কেউ ছিলেন কিনা এ প্রশ্নে জালাল ইউনুস জানান, ‘আমার মনে হয় না। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। ওরা যেকোনও সময় আলোচনা করতে চাইলে আমরা রাজি আছি।’

ক্রিকেটারদের দাবি সমুহ:

১. ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াবের) বর্তমান কমিটিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। ক্রিকেটারদের সরাসরি ভোটে ঠিক করা হবে নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।

২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের নিয়ম আগের মতো করতে হবে। যে যার পছন্দমতো দলে যাবে। 

৩. এ বছর না হোক, তবে পরের বছর থেকে আগের মতো (ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে) বিপিএল আয়োজন করতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে।

৪. প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি ১ লাখ করতে হবে। চুক্তিভুক্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের বেতন ৫০% বাড়াতে হবে। ১২ মাস কোচ-ফিজিও দিতে হবে, প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে বল দিয়ে খেলা হয়, ঘরোয়া লিগে সেই বল ব্যবহার করতে হবে। দৈনিক ভাতা ১৫০০ টাকায় কিছু হয় না, তা বাড়াতে হবে। এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য যাতায়াত ভাড়া মাত্র ২৫০০ টাকা। তা বাড়াতে হবে অথবা প্লেন ভাড়া দিতে হবে। হোটেল ভালো হতে হবে, জিম ও সুইমিংপুল সুবিধা থাকতে হবে। 

৬. জাতীয় দলে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা অন্তত ৩০ করতে হবে ও বেতন বাড়াতে হবে।

৭. দেশি সব স্টাফদের বেতন বাড়াতে হবে। কোচ থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ, আম্পায়ার- সবার বেতন বাড়াতে হবে।

৮. জাতীয় লিগের পর আগে একটি ওয়ানডে লিগ হতো, সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিতে হবে।

৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হতে হবে। 

১০. ডিপিএলের (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) পাওনা টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে হবে।

১১. বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দুটির বেশি খেলা যাবে না, এমন নিয়ম তুলে দিতে হবে। সুযোগ থাকলে সবাই খেলবে।

১২. ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনায় আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর একটা ভাগ আমরা চাই।

১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ভালো করছে। নারীদের ক্ষেত্রেও তাদের ন্যায্য হিসাব দিতে হবে।

 

 টিআর/আরকে