ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

নুসরাতের কবরে ফুটেছে ফুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

‘ফুল ফুটেছে নুসরাতের কবরে

ফেনীর আদালত থাকবে

সারাদেশের মানুষের নজরে।’

এমন একটি স্ট্যাটাস এখন ফেসবুকের পাতায় পাতায়।

আজ আলোচিত সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় সমগ্র দেশবাসী। ঠিক যখন আদলত রায় দিতে প্রস্তুত তখন নুসরাতের কবরের বাঁশের বেড়ায় শোভা বর্ধন করছে ফুটন্ত সাদা ও লাল গোলাপ। আর সেই খবর ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যম ফেসবুকে।

এ নিয়ে ফেসবুকে মানুষের মাঝে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগকারীরা বলছেন, কবরে ফোঁটা ফুলগুলোই বলে দিচ্ছে যে, নুসরাতের প্রকৃত খুনিদের বিচার হবে।

আবার অনেকে ‘নুসরাত কবরে শান্তিতে থাকুক’ এই দোয়া করেছেন। রায়ের দিনে ফেসবুকে কবরের পাশে ফুটন্ত গোলাপের ছবি নিয়ে কেউ কেউ মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে নুসরাতের জন্য জান্নাত কামনা করেছেন।

কেউ কেউ লিখেছেন মহান আল্লাহ ন্যায় বিচারক ও বিচার দিনের মালিক। সুতরাং নুসরাত ইহ ও পরকালে ন্যায় বিচার পাবেন।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগে ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষের ভাগ্নি পপি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

এসএ/