নুসরাতের পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারকে কোনও কুচক্রী মহল হুমকি দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেছেন, নুসরাতের পরিবারকে যতদিন প্রয়োজন, ততদিন নিরাপত্তা দেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যারা বর্বর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত, রায়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হয়েছে। এই রায়ে প্রমাণিত হলো, অপরাধী যেই হোক না কেন, সাজা পেতেই হবে। এ রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক।
আনিসুল হক বলেন, জনগণকে আমরা এ বার্তা দিতে চাই, যে যত ক্ষমতাধর হোক না কেন, শেখ হাসিনার সরকার বিচার করবেই। সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বিচার পাওয়ার সংস্কৃতিতে এ জাতিকে ফিরিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, রায়ের সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে কাগজপত্র আসবে। কাগজপত্র এলে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা রাখি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ৮ এপ্রিল তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজেল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে তার মা। ২৮ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট এএসএম এমরানের আদালতে নুসরাত তার উপর যৌন নিপীড়নের জবানবন্দি প্রদান করে। একই দিন সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
ফেনীর অন্য কোন মামলা এত দ্রুততর সময়ে রায় হয়নি বলে মন্তব্য করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ।
একে//