ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

অভিজিৎ হত্যা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বাবা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২১ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় তার বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ের জবানবন্দি ও জেরার মধ্য দিয়েই শুরু হলো এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অজয় রায় পূর্ববর্তী সময়ে আর আদালতে হাজির হতে  চান না বলে জানালে তাকে ‘আর আসতে হবে না’ বলে জানান বিচারক। এরপর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৮ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্ধারিত একাধিক তারিখে অজয় রায় উপস্থিত হতে পারেননি। সোমবার সাক্ষ্য দেওয়ার পর বিচারকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি তো বয়স্ক, আমাকে কি আরও আসতে হবে? আমি তো বারবার আসতে পারবো না।’ জবাবে তখন বিচারক বলেন, ‘আপনাকে আর আসতে হবে না আপনাকে।’

জবানবন্দিতে অজয় রায় বলেন, ‘২০১৫ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ থেকে সাড়ে ৮ টা আমার বড় ছেলে অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসামিরা চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। অভিজিৎকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী রাফিজা আহমেদ বন্যা চেষ্টা করে। সেখানে তাকেও আঘাত করা হয়। এ সময় তার ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে পড়ে যায়। এরপর আমরা খবর শুনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখানে অভিজিৎ মারা যায়। বন্যার উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এর একদিন পরেই শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করি।’

জবানবন্দির পর অজয় রায়ের উদ্দেশে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সরোয়ার খান জাকির বলেন, ‘এজাহারে থাকা স্বাক্ষর আপনার? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার।’

এদিন অজয় রায় ছাড়াও মাসুদুর রহমান নামের আরও একজন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে বিচারক বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী ১৮ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন।

এরআগে, গত ১ আগস্ট অভিজিৎ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের পর গত ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। পরবর্তী সময়ে গত ৬ অক্টোবর দিন নির্ধারিত থাকলেও ওইদিনও উপস্থিত হতে পারেননি বাদী অজয় রায়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা চলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় লেখক অভিজিৎ রায়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময়  তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।  হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর ছয় জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা (পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট-সিটিটিসি-এর পরিদর্শক) মনিরুল ইসলাম।  

আরকে//