ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

সাকিবের মতো আরও যারা শাস্তি পেয়েছেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৬ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

সনাথ জয়সুরিয়া

সনাথ জয়সুরিয়া

ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর আইসিসির দুর্নীতি বিভাগকে না জানানোয় দুই বছরের শাস্তি দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। এ ধরণের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারকে।

আইসিসির আচরণবিধিতে বলা আছে, যদি কোনো ক্রিকেটারকে জুয়াড়িরা অনৈতিক প্রস্তাব দেয় সেটি আকসুকে না জানালে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন অপরাধে অনেকেই শাস্তি পেয়েছেন। সাকিব আল হাসান এক বছর সকল ধরণের খেলা থেকে নিষিদ্ধ। তিনি আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।

আইসিসিকে জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার খবর না জানানোয় আরও যারা শাস্তি পেয়েছেন তারা হলেন- 

জিন সাইমস: দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়নি জিনের। তার আগেই আইসিসির কোপ পড়ে তার উপর। সাইমসের বিপক্ষে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোড ভাঙার অভিযোগ ছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। ম্যাচ পাতানোর জন্য অর্থ নিয়েও আকসুর এক কর্মকর্তার কাছে তা স্বীকার করেননি সাইমস। ফলে ৭ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন দক্ষিণ আফ্রিকার এ ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাইমস ৬২ প্রথম শ্রেণি ও ১০০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন।   

সনাথ জয়সুরিয়া: বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম একটি নাম সনাথ জয়সুরিয়া। যার হাত ধরে শ্রীলঙ্কার ঘরে আসে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। তার বিরুদ্ধেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। তবে সেটি খেলা থেকে অবসর নেওয়ার অনেক পরে। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ জয়াসুরিয়ার বিপক্ষে অভিযোগ নিয়ে আসে গত বছরের অক্টোবরে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে জয়সুরিয়ার সাহায্য চেয়েছিল আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। কিন্তু সংস্থাটিকে ম্যাচ পাতানো নিয়ে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করেননি জয়সুরিয়া। তার কাছে কোনো প্রস্তাব এসেছিল কি না এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। তার বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা সৃষ্টিরও অভিযোগ উঠে। এ কারণে তাকে দুই বছরের শাস্তি দেওয়া হয়। 

কুশল লোকুরাচ্চি: শ্রীলঙ্কার সাবেক অলরাউন্ডার লোকুরাচ্চির বিরুদ্ধেও ম্যাচ পাতানোর বিতর্কের অভিযোগ উঠেছিল। ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে বিপিএলে খেলেছেন এ ক্রিকেটার। ২০১৪ সালে বিপিএলে ম্যাচ পাতানো বিতর্কে জড়িয়ে ১৮ মাস নিষিদ্ধ হন তিনি। আকসু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসে যে, ম্যাচ ফিক্সিং এর খবর জেনেও সেটা তিনি জানাননি। ফলে শাস্তি পেতে হয় তাকে। এত করে তার উজ্জল ক্যারিয়ার স্বল্প সময়ে শেষ হয়ে যায়। 

থামি সোলেকিলে: এ ক্রিকেটারকে বড় ধরণের শাস্তি দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে প্রোটিয়াদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠে। তিনি জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করেন। এ বিষয়ে আইসিসিকে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করেননি। ফলে ১৬ বছরের জন্য তিনি নিষিদ্ধ হন।

সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী: ভারতীয় এ ক্রিকেটারেরও নিষিদ্ধের খাতায় নাম উঠে। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে তিনি আইপিএলে খেলেছেন। জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরও না জানানোয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। অবশ্য পরবর্তীতে টাকা নিয়ে তা ফেরত দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।

এসি