ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যেভাবে আরও কমতে পারে সাকিবের শাস্তি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান

টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই ভারতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার অপেক্ষায় টাইগাররা। কিন্তু ভারতের মতো একটি শক্তিশালী দল এবং গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের ঠিক আগ মুহূর্তেই নিষেধাজ্ঞার শিকার হন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা ও পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। 

এক বছরের (২ বছর থেকে এক বছর কমিয়ে) ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত সিরিজসহ বাংলাদেশের পরবর্তী ৩৬ ম্যাচ খেলতে পারবেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।

তিন তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অপরাধে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিবকে ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে পাক্কা এক বছর। অবশ্য নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও কমিয়ে আনার সম্ভাবনাও ইতিবাচক হয়ে দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যে।

আগেই জানা যায়, আইসিসির দেয়া দুই বছরের শাস্তি সাকিব মেনে নেয়ায় এবং এন্টি করাপশন ইউনিটকে সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাসে ওই শাস্তি এমনিতেই এক বছর স্থগিত করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে তার এবং বিসিবির আপিল করার রাস্তা। তবে আপিল ছাড়াও একটা উপায়ে শাস্তি কমতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন উদাহরণ আগেও পাওয়া গেছে।

এদিকে, আইসিসি শর্ত দিয়েছে যে, নিষিদ্ধ থাকার সময় দুর্নীতি দমন কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে সাকিবকে। কার্যক্রমগুলোতে নিয়মিত ও স্বতঃস্ফুর্ত অংশ নিয়ে সাকিব যদি আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পারেন সেক্ষেত্রে কমে আসতে পারে এই শাস্তি। পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের ক্ষেত্রেও যেমনটি হয়েছিল।

পাক পেসার ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে নিয়মিত আইসিসির দুর্নীতি দমন কার্যক্রমে অংশ নেয়ায় ছয় মাস আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পান আমির। এই দিকটি বিবেচনায় ধরেই সাকিবের শাস্তিও কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

তাছাড়া আমিরের তুলনায় সাকিবের অপরাধ খুবই নগণ্য। ম্যাচে টাকার বিনিময়ে ‘নো বল’ করেছিলেন আমির। ওই সময় আমিরের সঙ্গে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাট এবং আরেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ। কিন্তু সাকিবের অপরাধ, তিনি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা এড়িয়ে গেছেন, সংশ্লিষ্টকে জানাননি। তাই টাইগার তারকার শাস্তি কমার ব্যাপারেও আশাবাদী সবাই।

সাকিবের শাস্তি কমার বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরীও আভাস দিলেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন উদাহরণ আছে। আমরাও চেষ্টা করছি সাকিবের ক্ষেত্রে এটা করার। বিসিবির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল কিছুই করা হবে সাকিবের জন্য।’

সে ক্ষেত্রে সাকিবের চলমান শাস্তি থেকে তিন থেকে ছয় মাস কমার ব্যাপারেই আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। 

এদিকে, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী আজ (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাকিবের শাস্তি কমানোর ব্যাপারে কী করা যায় সেটি জানতে বিসিবির আইনি বিভাগের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে বিসিবির করণীয় এক্ষেত্রে সীমিত। যেহেতু সাকিব শাস্তি মেনে নিয়েছে। আমরা আমাদের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলব। তারা দেখবে এ ব্যাপারে কতটুকু কী করার আছে।’

‘যেহেতু আইসিসি মাত্রই শাস্তিটা দিয়েছে, সেক্ষেত্রে এখনই এ ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’ যোগ করেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করা যাবে, বিসিবি সেই পথরেখায় পদক্ষেপ নিতে পারবে, তবে বাস্তবটা এটাই- ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই আশাপ্রদ কিছু বলার মতো পরিস্থিতিও হয়নি!

এনএস/