ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট এ সপ্তাহেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এ সপ্তাহেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।

শুক্রবার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এই তথ্য জানান। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) হলে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্র রাজনীতি না মূল্যবোধের অবক্ষয়, কোনটি দায়ী’-শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সিটিটিসি’র প্রধান বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পরিচয় যাই হোক মূলত তারা দুর্বৃত্ত ও অপরাধী। রাজনীতি থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এই মামলার চার্জশিট নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দাখিল করবো। সেখানে প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্ট হিসেবে সিটিটিভি ফুজেটও দাখিল করা হবে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, কোনও ছাত্র সংগঠন অন্য ছাত্র বা সাধারণ কাউকে হত্যা বা মারধরের নির্দেশ দেয় না। বরং রাজনীতির প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে কেউ কেউ নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে থাকে। এটা রাজনীতির দায় নয়। বরং ওই সব অপরাধী দুর্বৃত্তের দায়।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ১৯ আসামি হলেও এখন পর্যন্ত আমরা গ্রেফতার করেছি ২১ জনকে। এদের মধ্যে অনেকেই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যার ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল সেটা আসামিরা বলেছে।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ইফতিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

একে//