ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ পূর্ণ করা গুরুত্বপূর্ণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

সামান্য অসুখে পড়লে অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই দোকান থেকে নিজের মতো করে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে থাকেন। এ কাজটি ঠিক নয়, এতে হীতে বিপরীত হতে পারে। জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এভাবে ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া। আবার কেউ কেউ আছেন দু’দিন খেয়ে অসুখ কমে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দেন। এর ফলে বিপত্তি আরও বাড়তে পারে।

প্রথমত যে অ্যান্টিবায়োটিকটি খেয়েছেন, সেটি আপনার রোগের জন্য সঠিক নাও হতে পারে। দ্বিতীয়ত, অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করায় আপনার শরীরে যে জীবাণুগুলো ছিল, সেগুলো পুরোপুরি মরল না। উল্টো আরও শক্তিশালী হল। তৃতীয়ত, এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ভবিষ্যতে আপনার শরীরে কাজ নাও করতে পারে। 

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে নানা ধরনের বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার সে সম্পর্কে জানা যাক...

* মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন রোগের জন্য কোন অ্যান্টিবায়োটিক এবং তার পরিমাণ কতটা হওয়া উচিত, তা কিন্তু একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারেন। চিকিৎসক ছাড়া আর কারও পক্ষে তা বলা সম্ভব নয়। শরীর একটু ঠিক হয়ে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকে। কিন্তু ডোজ শেষ না হলে ব্যাকটিরিয়া মারা যাবে না। উল্টো অ্যান্টিবায়োটিক পেয়ে তারা নিজেদের মধ্যে একটা প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। এর ফলে একই অসুখ ঘুরে-ফিরে আসতে পারে।

* বিশেষজ্ঞরা বলেন, একই অ্যান্টিবায়োটিক বার বার খেলে সেই ওষুধের রেজিজট্যান্স তৈরি হয় শরীরের মধ্যে। বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার করতে না পারলে ভাল-মন্দ সব ব্যাকটেরিয়ার মধ্যেই প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়। ফলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক তেমনভাবে আর কাজ করে না।

* একদম ছোট শিশুকে খুব প্রয়োজন না হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। অনেক সময়ে অল্প সর্দি-জ্বরে অভিভাবকেরা চিকিৎসককে অনুরোধ করেন অ্যান্টিবায়োটিক দিতে। এটি অনুচিত। যদি প্রয়োজন হয়, তখনই চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন। আর শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধের ডোজের পরিমাণ এবং সময়টাও খুব জরুরি।

যতোটা পারা যায় অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলুন। যখন একেবারেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হবে তখন এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। সুস্থ বোধ হলেও অ্যান্টিবায়োটিকের পূর্ণ ডোজ শেষ করা উচিত।

এএইচ/