ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ওসি মোয়াজ্জেমের মামলা ৪০ দিনে শেষ করার নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ৪০ দিনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ৪০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শেষ করতে না পারলে বিচারিক আদালতকে মোয়াজ্জেমের জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে ওসি মোয়াজ্জেম হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন।

আদালতে মোয়াজ্জেমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ ও রানা কাওসার এবং বাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

উল্লেখ্য, এর আগে নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় এবং তার জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে মোয়াজ্জেম হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।

নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ১৭ জুলাই সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এর বিরুদ্ধে ৩১ জুলাই হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান তিনি। এরপর ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট ওসি মোয়াজ্জেমের করা আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে ১৩ অক্টোবর শুনানির জন্য রাখে। সে ধারাবাহিকতায় বুধবার এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। ৯ জুলাই ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

নুসরাত গত মার্চ মাসে তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করলে সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম তাকে থানায় ডেকে জবানবন্দি নিয়েছিলেন। তার কয়েক দিনের মাথায় মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সারাদেশে আলোচনার মধ্যে নুসরাতের সেই জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

১৫ এপ্রিল ওই ভিডিও ছড়ানোর জন্য ওসি মোয়াজ্জেমকে আসামি করে ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী সৈযয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ১৬ জুন গোপনে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। আদালত পরদিন আবেদনটি শুনানির জন্য রাখলেও ওই দিনই সুপ্রিমকোর্ট এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।