হাবিপ্রবিতে অপপ্রচারকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট সংলগ্ন দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যারা বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আজকের মানববন্ধন। মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে একের পর এক যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন তাঁদের সেই ষড়যনন্ত্র কোনদিনই সফল হতে দেওয়া হবে না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা রুখে দিবো। এবারের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে এলাকাপ্রীতি, স্বজন প্রীতি ও নিয়োগ বানিজ্য হয়নি বরং যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বরং তাদের আমলেই এটি বেশি হয়েছে যার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সম্পূর্ণ অনিয়মে সাবেক ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিনের পুত্র ও পুত্র বধুকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদান। সেখানে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ভালো শিক্ষার্থী থাকলেও তাঁদের নিয়োগ না দিয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ছেলে ও ছেলে বউকে নিয়োগ দেয়।
২০১৭ সালে সাবেক ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের মিটিং চলাকালীন তারই মদদ পুষ্ট কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা সম্মানিত শিক্ষকগণকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং তারই মদদপুষ্ট কিছু নীতি বিবর্জিত শিক্ষক কয়েকজন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় যা বিভিন্ন মিডিয়া প্রকাশ করে। আজ তাঁরাই বড় বড় নীতির কথা বলে বেড়ায়। আরও দুঃখজনক ঘটনা হলো সে সময়ে (২০১৭ সালে) লাঞ্চিত কারী শিক্ষকদের বিচার চেয়ে ছাত্রীরা সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য দেয়, সেই বক্তব্যের একটি অংশকে কাট করে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা বলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
শুধু তাই নয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রগতিশীল নামধারী কিছু জামাত-বিএনপি থেকে আগত এসব শিক্ষক ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। তাঁরাই আজ নিজেদের আওয়ামীপন্থী দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সম্মানিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। যারা এই অপপ্রচার ও মিথ্যচার করে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তের মাধ্যেমে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যথায়, হাবিপ্রবির সকল সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আতিক, জুয়েল, মুন্নাসহ আর অনেকে ।
কেআই/এসি