ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শীতে শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫৪ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

শীতকালে শিশুরা খুব অল্পতেই অসুস্থ্য হয়ে পরতে পরে। এমনিতেই শিশুর যত্নে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয় আর শীতকালে শিশুর চাই বাড়তি যত্ন।

শীত পড়তে শুরু করেছে। আর শীতে শিশুরা একটু বেশিই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে দুশ্চিন্তা না করে এ সময়টাতে শিশুদের বিশেষ পরিচর্যা নিলে শীতেও আপনার সোনামণি থাকবে সুস্থ।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুর দরকার হয় আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া। এই শীতে সঠিক যত্ন না পেলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগা, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে নিউমোনিয়ায়ও ভুগতে পারে। তাই শীতে শিশুর জন্য দরকার বাড়তি যত্নের। চলুন জেনে নিই কিভাবে নিতে হবে শিশুর যত্ন।

১. শীত বলে পরিচ্ছন্নতায় কখনো অবহেলা করা যাবে না। শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। তবে দুপুর ১২টার আগেই গোসলটা সেরে ফেলা ভালো। গোসলের পর বাচ্চার মাথা ও শরীর ভালো করে মুছে তারপর জামাকাপড় পরাবেন।

২. শীতে আর্দ্রতার অভাবে মানুষের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। শিশুদের ত্বক স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বেশি কোমল হয়ে থাকে। তাই শীতে শিশুর কোমল ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই ভালো মানের লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে। এছাড়াও বেবি অয়েল, গ্লিসারিন ও ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. কাপড় পরালেও শিশুদের হাত ও মাথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাইরে থাকে। তাই আপনার শিশুকে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার আগে তার মাথা আর হাত ভালো করে ঢেকে দিন। দরকার পড়লে তার চেহারার ওপরে একটি পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে রাখতে পারেন।

৪. শিশুরা স্বাভাবিকভাবে হাত-পা বেশি নাড়াচাড়া করে এবং মুখে হাতও দেয়, তাই তার নখগুলো কেটে ছোট রাখবেন। যাতে রোগ-জীবাণু নখের মাধ্যমে মুখে না যায়।

৫. নিয়মিত শিশুকে ‘ডায়পার’ পরালে, অবশ্যই নিয়মিত তা বদলানোর কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।

৬. যদি কখনো শিশুর ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়, তখন ‘নরসল নসল ড্রপ’ দিনে দুইবার দেওয়া যেতে পারে, এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু।

৬. শিশুর শীতের খাবারটা একটু বেশি মনোযোগের সঙ্গে বিবেচনা করে নিতে হবে। যেই সকল খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন সি আছে, এরকম খাবার বেশি খাওয়াতে হবে। তবে সবরকম খাদ্যগুণসম্পন্ন সুষম খাবার খাওয়ানোরও কোনো বিকল্প নেই। আর শিশুর খাবার হিসেবে বুকের দুধের কোনো বিকল্প নেই। এটি নানা রকম সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। 

এছাড়া বুকের দুধ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে মা ও শিশুর মধ্যে চমত্কার বন্ধন বিকশিত হয়। প্রথম ছয় মাস শিশুর পুষ্টির একমাত্র উত্স বুকের দুধ। আপনার শিশুটি নিশ্চয়ই পানি না পান করতে পারলেই খুশি হবে। কিন্তু খুশির চেয়েও তার সুস্থতা বেশি দরকারি। তাই শিশুর শরীরকে সতেজ রাখতে তাকে প্রচুর পানি পান করান। এছাড়া শিশুর বিছানা-বালিশ প্রতিদিন রোদে গরম করে নিলে শিশু আরাম বোধ করবে।