ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে কিছু নিয়ম মানুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

কিছু অসুখ-বিসুখ আছে যা নিজেদের দোষে সৃষ্টি হয়। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কারণে পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় রোগ দেখা দেয়। সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে ওঠে না বলে বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগতে হয়। যা এই অসুখের অন্যতম কারণ। 

এ ছাড়া যারা দীর্ঘক্ষণ বসে বাথরুম করার চেষ্টা করেন তাদেরও পাইলসের আশঙ্কা বেশি। যারা বেশি ওজন তোলেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। আর গর্ভবতীদের নানান শারীরিক বদলের সময় পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে একটু নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে এই রোগ বাড়তে পারে না। এবার জেনে নেওয়া যাক পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর নিয়মকানুন সম্পর্কে...

* প্রতিদিনের খাবারে রাখুন প্রচুর শাকসবজি। আলু-পেঁয়াজ ছাড়া সময়ের সব রকমের সবজি খাবেন। তবে ঢেঁড়শ পাইলস কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই যারা পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা নিয়মিত দু’বেলা ঢেঁড়শ খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

* দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৩.৫ লিটার পানি পান করা দরকার। তবে শীতের সময় কিছুটা কম হলেও চলবে।

* পালংশাক সহ অন্যান্য শাকও রাখুন মধ্যাহ্ন ভোজনে।

* কুমড়া, লাউ, পটলসহ সময়ের সবজি খাবেন। তবে খোসা সমেত সবজি খেতে পারলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে।

* শসা খাবেন খোসা সমেত। কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জাম-সহ বেশির ভাগ ফলেই ফাইবার আছে। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন ৩/৪টি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

* বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে চাপ দেবেন না। এতে কিন্তু ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

* নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে। বাড়তি ওজন পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ভারী জিনিসও তুলবেন না।

* ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। আর মদ্যপানে এই সমস্যা বাড়ে বলে মদ পানও ছাড়তে হবে।

* ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। কাবাবের নামে পোড়ানো মাংসও খাওয়া যাবে না।

* ময়দার খাবার খেলে এই সমস্যা বাড়ে। তাই কেক, বিস্কুট খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিন। এর পরিবর্তে খই, ওটস খেতে পারেন।

এর পরও পাইলস হলে সময় নষ্ট না করে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এএইচ/