ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১১ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন- সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও সদস্য অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, আমরা আজকে দুপুরে জরুরি মিটিংয়ে বসেছিলাম, সেখানে হামলার ঘটনায় বিচারতো দূরের কথা প্রতিবাদও করতে পারেনি। উল্টো আন্দোলনকারীদের তিরস্কার করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় শিক্ষক সমিতি কিছুই করতে পারেনি। তাই আমরা বিবেকের তাড়নায় পদত্যাগ করলাম।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। তার অপসারণ দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে সোয়া বারোটা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৮ শিক্ষকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

এদিকে হামলার ঘটনা নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের চিন্তা করতে হবে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় নিয়ে যেতে চায়। তারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তারা তিন মাস থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে, সমস্যা সৃষ্টি করছে।’

তিনি বলেন, ‘একটা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে অসম্মান ও অপদস্থ করা হয়েছে। কিন্তু এটা করা হয়েছে কোনও প্রমাণ ছাড়াই। যদি কোনও প্রমাণ থাকে, যদি প্রমাণ পায়, তাহলে যা বিচার হবে তা মেনে নেব।’

ফারজানা ইসলাম আরও বলেন, ‘আজ মানুষের জেগে ওঠা আমরা দেখেছি। আমার সহকর্মী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সব ছাত্রছাত্রী বিশেষ করে ছাত্রলীগের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তারা দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটি করেছে। এখন সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সবাই আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘তারা সংবাদমাধ্যমকে অনবরত মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, মিথ্যা বলে যাচ্ছে। এখন একটা জাগরণের সুযোগ এসেছে। এখন সত্যটা সবাই জানবে।’

এসি