ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পরিবেশ অধিদপ্তরের চিঠি আমলে নেয়নি ‘তারা টোব্যাকো’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

তারা টোব্যাকো

তারা টোব্যাকো

ভৈরবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ সিগারেট উৎপাদন করে যাচ্ছে তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বার বার নোটিশ দেয়া হলেও তা আমলে নেয়নি অবৈধ এ প্রতিষ্ঠানটি। 

উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সম্ভুপুর এলাকার টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন ভৈরব-ময়মনসিংহ সড়কের পশ্চিম পাশে কারখানাটি অবস্থিত। কোম্পানিটি নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিপুল অংকের শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোকে পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়ার চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত না করেই তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অবৈধ সিগারেট উৎপাদন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি প্রতিষ্ঠানটি। 

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট কাজী সুমন বলেন, ‘কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ তিনি অচিরেই ভৈরবে সরজমিনে কারখানাটি পরিদর্শনসহ প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কারখানাটির প্রধান গেট বন্ধ। চারিদিকে দেয়াল উপরে টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে সিগারেট তৈরির মেশিনপত্র রয়েছে। এ কারখানায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতনে প্রায় ৮০-৯০ জন শ্রমিক কাজ করেন। 

শ্রমিকরা জানান, মাসের ১ম মঙ্গলবার গরু জবাই করে শ্রমিকদের খাওয়ানো হয়। এতে শ্রমিকরা খুশি হয়ে কারখানা সম্পর্কে মুখ বন্ধ রাখেন। তারা আরও জানানা, কুষ্টিয়া থেকে তামাক এনে সিগারেট তৈরি করা হয়। মাঝে মধ্যে ভ্যাট অফিসের লোকজন ম্যানেজারের সাথে দেখা করে চলে যান। প্রতি মাসেই ভ্যাট অফিসের লোকজন এসে দেখা করে।

এলাকাবাসী জানান, কারখানার তামাকের গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কারখানার জায়গার মালিক ভৈরব উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন। তিনিও কারখানাতে পার্টনার আছেন। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী বলে এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলেনা। 

তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নথিতে উল্লেখ আছে মোঃ আব্দুস সবুর লিটন ও মোঃ ওমর ফারুক সিদ্দীকি নামে দুজন এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।

এখানকার নিরাপত্তাকর্মী আলাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট কারখানায় উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সিগারেট গভীর রাতে মিনি ট্রাক দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। সিগারেটে মূসক লেভেল লাগায় কিনা তা তিনি বলতে পারেন না। 

জানা যায়, কারখানায় সেনর গোল্ড ক্ল্যাসিক ও স্মার্ট ব্ল্যাকসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট তৈরি হয়। কম দামী সিগারেট হওয়ায় গ্রামে-গঞ্জে এর চাহিদা বেশী।

এনএস/