ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ব্যাঙ্গাত্বক চিত্রের মাধ্যমে জাবি উপাচার্যের অপসারণ দাবি

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে পটচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। 

বেলা ১২টার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে জড়ো হয়। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পটচিত্র অঙ্কন শুরু করা হয়। এসময় তারা ভিসি বিরোধী নানা ধরনের স্লোগানে সাজিয়ে তোলেন তাদের চিত্র। চিত্রাঙ্কন শেষে ব্যঙ্গাত্বক উক্তি ও চিত্র অঙ্কিত ব্যানার নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে মিছিল করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি কলা ও মানবিকী অনুষদে এসে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ৬০ গজ লম্বা কাপড়ে ব্যঙ্গাত্বক চিত্রের মাধ্যমে অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ করা হয়েছে। চিত্রের মাধ্যমে উপাচার্যের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ছাত্রলীগ দ্বারা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাসহ সকল অনিয়ম তুলে ধরছেন তারা। একই সাথে উপাচার্যের অপসারণ চাইছেন।

ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচির ব্যাপারে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, ব্যঙ্গত্বক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে আমরা উপাচার্যের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা তুলে ধরেছি। এর আগে আমরা ৩০ গজ লম্বা কাপড়ে একইভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম কিন্তু আমাদের সেই ক্যানভাসটি ছিড়ে ফেলা হয় যার প্রতিবাদে এবার ৬০ গজ কাপড়ে উপাচার্যের দুর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরেছি।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত ও আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নথিপত্র মেইল করবেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে গত মঙ্গলবার উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এর প্রেক্ষিতে ঐদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এবং রাতে এক বিবৃতির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ সকল ধরনের মিছিল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করে  করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবি নিয়ে এসব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের সমন্বয়ক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, হামলা-মামলা ও হুমকিতে অগ্রাহ্য করে নৈতিকস্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যকে অপসারণ এবং দুর্নীতিতে জড়িত সকলের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।

আরকে//