ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাস্তানাবুদ পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৫৮ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

এভাবেই নাস্তানুবুদ হয়েছে পাকিস্তান

এভাবেই নাস্তানুবুদ হয়েছে পাকিস্তান

আগামী বছরের এই নভেম্বরেই মাঝামাঝি শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। যে টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিপর্ব বেশ দারুণভাবেই সেরে নিচ্ছে অজিরা। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে রীতিমতো আগ্রাসী ফর্ম নিয়েই ছুটছে তারা। যে আগ্রাসনের সামনে পড়ে ধবলধোলাই হয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। আর এবার নাস্তানুবুদ হলো পাকিস্তান।

বৃষ্টির কারণে সিডনিতে প্রথম ম্যাচে জয়ের সুবাস পেয়েও বঞ্চিত হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। রাজধানী ক্যানবেরায় দ্বিতীয় ম্যাচে যথারীতি পাকিস্তানকে সাত উইকেটের হার উপহার দেয় অজিরা। আর আজ শুক্রবার পার্থে তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে তো বাবর আজমদের স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে আট উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১০৬ রান তুলতে পারল পাকিস্তান। যে মামুলি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে অজিদের লাগল মাত্র ৭১ বল। তাও আবার কোনও উইকেট না হারিয়েই। ১০ উইকেটের এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিলো অ্যারন ফিঞ্চের দল।

পার্থে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অজি পেস তোপে কাঁপতে থাকে সফরকারীরা। বল হাতে এদিন আগুন ঝরালেন মিচেল স্টার্ক, শন অ্যাবট ও কেন রিচার্ডসন। এই পেস ত্রয়ীর তোপে পাকিস্তানের নয় ব্যাটসম্যানই ছুঁতে পারেননি দুই অংক!

তিন উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দিয়েছেন রিচার্ডসন। দুটি করে শিকার অ্যাবট ও স্টার্কের। চার ওভারে ১৪ রান দেয়া শন অ্যাবটই শেষ পর্যন্ত হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

তবে এ ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও অস্ট্রেলিয় পেসারদের সঙ্গে বুক চিতিয়ে একাই লড়েছেন ইফতিখার আহমেদ। ৩৭ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। তার এ ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের মার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বলে ১৪ রান করেন ওপেনার ইমাম-উল-হক। 

পেসারদের এনে দেয়া এমন জয়ের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে মধুর একটা সমাপ্তি টেনেছেন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বাঁহাতি ওয়ার্নার। যে ইনিংসে চারটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। 

অন্যদিকে এক বল বেশি খেলে ৫২ রানে অজেয় থাকলেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় বিধ্বংসী ওই ইনিংসটি সাজিয়েছেন ফিঞ্চ। যাতে রীতিমত নাস্তানুবুদ হয় পাকিস্তান।

এনএস/