ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বুলবুল’র শঙ্কায় সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

আজ শুক্রবার বিআইডব্লিইটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করার পর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাওয়া ফেরিঘাটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বন্ধ করা হবে। তবে আরিচায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল বুলবুল। 

ঐ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল। শুক্রবার সকালে বুলবুল অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এতে সংকেত বাড়িয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙ্গর ও জেটিতে দুপুর পর্যন্ত পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও সংকেত বাড়লে নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ বন্ধ করে হবে।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়টি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। আজ শুক্রবার সকালে ঝড়টি আরও এগিয়ে এসেছে। এখন সেটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। 

এমএস/এসি