ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মহাবিপদ সংকেতেও আতংক নেই মোংলার মানুষের মাঝে

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

থেমে থেমে বৃষ্টি আবার সূর্যের উকি ঝুকিতে কালো মেঘ চিরে রৌদ্রের আলোতে মহাবিপদ সংকেতের ভয় নেই মোংলার মানুষের মাঝে। দমকা বা হালকা বাতাসও নেই। আতংকহীন মানুষেরা ঘর থেকে বের হয়ে তাদের কাজকর্ম শেষে আবার ঘরে ফিরেছেন। ফলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ার পরও দূর্গতরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। 

এদিকে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ২৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাতে এটি আঘাত হানবে। 
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে আবাহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এক ঘোষণায় মোংলা সমুদ্র বন্দরের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়। তবে এ ঘোষণায় সুন্দরবন উপকূলীয় মানুষের মাঝে তেমন আতংক চোখে পড়েনি। 

দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮৪ টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে জয়মনির দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্বল্প সংখ্যক মানুষজন উপস্থিত হলেও বাকি শেল্টারগুলো ছিল একদমই ফাঁকা। কবরস্থান রোডের দিগন্ত সরকারি প্রকল্প বিদ্যালয়ে (আশ্রয়কেন্দ্র) একজন লোক উপস্থিত হন। 

এ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি মিস্ত্রি বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। একই অবস্থা আলীয়া মাদ্রাসা, চালনা বন্দর স্কুল, সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয়, গার্লস স্কুল, আরাজী মাকোরডোনসহ বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রের। 
মোংলার শেহালাবুনিয়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন টিটু বলেন, মোংলার আকাশে তেমন মেঘ নেই, ভারী বৃষ্টিও নেই। মাঝে মাঝে রৌদ্রের আনাগোনা। হয়তো সে কারণেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ নম্বর মহাবিপদের মধ্যেও মানুষের মধ্যে আতংক নেই। 

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান দাবি করে বলেন, সুন্দরবনের খুব কাছের জনপদ জয়মনির লোকজন সরকারি খাদ্য গুদাম ও জয়মনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২ হাজার ৬’শ লোক জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতারণ করা হয়েছে। তবে বিকেলের পর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি বাড়তে থাকে বলে তিনি জানান। 

এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে দুপুর ১টায় জরুরী সভা করে ঝড় পরবর্তী মোকাবেলায় কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (অর্থ) ইয়াসমিন আফসানার সভাপতিত্বে এসময় সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী, হাবরবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এআই/আরকে