ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে বাগেরহাটবাসী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপালের বাসিন্দারা। 

শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে থেকে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রেও ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। উপকূলবাসী নিজ নিজ বাড়ি থেকে যেতে থাকে আশ্রয়কেন্দ্রে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষ জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে সুপেয় পানি, খাবার ও পয়নিস্কাশনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশ্রয়প্রার্থীরা।

এদিকে শনিবার দুপুরে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজামান খানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজামান খান বলেন, স্থানীয়রা বাঁধের যে জায়গাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ  মনে করছে, আমরা সে এলাকা পরিদর্শন করেছি। ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত পানি হলেও কোন সমস্যা হবে না। পানির পরিমান এর থেকে বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বাঁধের কোথাও যদি কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে এক ঘন্টার মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে। সে অনুযায়ী স্কেভেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল প্রস্তুত রাখার কথা জানান তিনি।

কেআই/আরকে