ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

রাঙ্গাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে: শহীদ নূর হোসেনের মা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:১৪ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া শহীদ নূর হোসেনের পরিবার

প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া শহীদ নূর হোসেনের পরিবার

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর’ বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। আর এজন্য তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন নূর হোসেন মা মরিয়ম বেগম। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাঙ্গার ওই বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে নিন্দা ও প্রতিবাদী অবস্থান নেয় নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই এ কথা বলেন মরিয়ম বেগম।

তিনি বলেন, নূর হোসেনের মৃত্যুর ৩০ বছর পর তাকে নিয়ে রাঙ্গা এতো বড় কথা বলছেন। এ জন্য তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি তার শহীদ ছেলেকে নিয়ে করা এমন বিরূপ মন্তব্যের বিচারের ভার দেশের জনগণ ও সরকারের ওপর তুলে দিয়েছেন।

এর আগে 'গণতন্ত্র দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কাকে হত্যা করলেন। নূর হোসেনকে, নূর হোসেন কে? একটা অ্যাডিকটেড ছেলে। একটা ইয়াবাখোর, ফেন্সিডিলখোর।’ 

গত রোববার (১০ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় রাঙ্গা আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বর্তমানের বিরোধী দল বিএনপি গণতান্ত্রিক দুই দলই নূর হোসেনকে নিয়ে নাচা-নাচি করে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখবেন 'নূর হোসেন দিবস'। অথচ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদই সেই নূর হোসেন চত্বর করে দিয়েছেন।’

শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে জাপা মহাসচিবের এমন মন্তব্যের পর পরই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বুকে ও পিঠে 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক' শ্লোগান লিখে রাস্তায় নেমেছিলেন নূর হোসেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মিছিলটি রাজধানীর 'জিরো পয়েন্ট' (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন চত্বর) এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ মিছিলটি লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। 

এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নূর হোসেন। মূলত এর পরেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। যার প্রেক্ষিতে এরশাদ এক পর্যায়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।

এনএস/