ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবি’র সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:৫৮ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কৃষিবিজ্ঞান (এগ্রিকালচার) বিভাগের ছাত্রী ও নেপালের নাগরিক সুমি শিং ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের কাছে এ অভিযোগ দেন ঐ ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ‘সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হুমায়ুন কবির স্যার কৃষিবিজ্ঞান বিভাগ এর ক্লাস নিতেন। ক্লাস শেষে আমাকে প্রায়ই ব্যাক্তিগতভাবে দেখা করতে বলতেন। আমি দেখা করতাম। দেখা করার পরে তিনি আমার সঙ্গে ফ্রিভাবে কথা বলা ও আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব সূলভ আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন এবং আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হুমায়ূন কবির স্যারের ফেসবুক আবেদন গ্রহণ করি এবং তার সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করি। তারপর থেকে সে আমার সাথে সেক্সুয়ালি ম্যাসেজ করতে থাকে এতে আমি খুব বিব্রতবোধ করি।


আরও উল্লেখ করা হয়, গত ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে হুমায়ূন কবির স্যার আমাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিতে থাকে এবং খুব খারাপভাবে ম্যাসেজিং করতে থাকে। সে আমার পেটে তার বাচ্চা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিতে থাকে। আমি এসব কথা শিক্ষকদের কাছে বলে দেব বললে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। হুমায়ূন কবির স্যারের অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক প্রভাবশালী শিক্ষক আছে এমনকি আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা আছে তাদেরকে দিয়ে আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। সে আমাকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় হতে কোন প্রকার সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে দিবে না বলেও হুমকি দেয়।

সুমি শিং বলেন, আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ও দুশ্চিন্তায় ভুগছি। যার কারণে আমার একাডেমিক পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটেছে এবং যে কোন সময়ে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে যার জন্য হুমায়ূন কবির স্যার দায়ী থাকবে। বিষয়টি আমি কিছুদিন পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। বর্তমানে আমার এ অসহায়ত্ব সময়ে আমি আপনার বরাবর অভিযোগ করলাম এবং এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপনাকে বিনীত অনুরোধ করছি।’ অভিযোগ পত্রের শেষে নৈতিক স্খলনের জন্য শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের অবেদন জানানো হয়।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের গুরুজন। তাদের বিরুদ্ধেই শুধু নয় যার বিরুদ্ধেই এধরনের অভিযোগ উঠুক না কেন, সঠিক তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।’ 

তবে অভিযোগের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন সহকারী প্রক্টর হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নাই। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এমএস/আরকে