ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

তুমি ঘুমাও কোমলতায়, তুমি ঘুমাও ভালোবাসার স্নিগ্ধতায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১২ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

গাজীপুরের নুহাশ পল্লিতে নানা আয়োজনে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালিত হয়েছে। ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশ পল্লিতে এসে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত।

রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ুন আহমেদের হতে গড়া নুহাশ পল্লিতে ৭৭১টি মোমবাতি প্রজ্বালন করেন নুহাশ পল্লির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলে জানান নুহাশ পল্লির ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল। 

ভোর ৫টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লিতে আসেন বলে জানান বুলবুল।

বুলবুল বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাওন দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন। জিয়ারত শেষে নুহাশ পল্লিতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল গাছ তলায় ৭১তম জন্মদিনের কেক কাটেন তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত।’ 

জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশ পল্লির ভাষ্কর আসাদ খান তার একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করেন। এতে কাঠ দিয়ে তার তৈরি ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশ পল্লিতে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। তিনি একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। 

তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।

এসি