ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

রশিদ বাহিনীকে সহজেই হারালো পোলার্ডরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৪ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারার পর এবার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে উইন্ডিজের মুখোমুখি আফগানিস্তান। তবে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভারতের লক্ষ্ণৌতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পোলার্ডদের কাছে ৩০ রানে হেরে ১-০তে পিছিয়ে পড়লো রশিদের দল।

এদিন এভিন লুইসের ঝোড়ো ফিফটিতে চড়ে ১৬৪ রানের স্কোর গড়ে সফরকারীরা। ফলে ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয় পেস তোপে ৯ উইকেটে হারিয়ে ১৩৪ রানেই থামে আফগানদের ইনিংস।

জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রশিদ খানের দল। ক্যারিবিয় পেস তোপে দলীয় মাত্র ৭ রানেই দুই উইকেট হারায় আফগানরা। দলীয় ৪ রানেই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফেরেন শূন্য হাতে হোল্ডারের শিকার হয়ে। আর তিনে নামা অভিষিক্ত ইব্রাহীম জাদরান ফেরেন ২ রান করে কোট্রেলের শিকার হয়ে। 

এরপর অভিজ্ঞ আসগরকে সঙ্গী করে আরেক ওপেনার হযরতুল্লাহ জাজাই কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও উইলিয়ামসের বোলিং কারিশমায় তা ভেস্তে যায়। রামদিনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে জাজাই ফেরেন ২৯ বলে ২৩ রান করে। নবম ওভারের প্রথম বল শেষে আফগানদের স্কোর তখন তিন উইকেটে ৫৫। 

পরে দলীয় ৬৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন আসগর আফগান। কাইরন পোলার্ডকে মাঠ ছাড়া করতে গিয়ে নিজেই মাঠছাড়া হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। কিছুক্ষণ পর এক বলের ব্যবধানে আউট হয়ে ফেরেন নাজিবুল্লাহ জাদরান (২২ বলে ২৭ রানে) এবং মোহাম্মদ নবী (১ রানে)। যাতে ৯৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় দলটি। 

শেষদিকে চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফরিদ আহমেদ কিছুটা উত্তেজনা ছড়ালেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট বলে প্রমাণ হয়নি। যদিও ১৫ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর এতেই ৯ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ গিয়ে থামে ১৩৪-এ। 

ক্যারিবিয়দের পক্ষে এদিন উইলিয়ামস ১৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি, হেইডেন ওয়ালশ ২টি উইকেট পেলেও ম্যাচ সেরা হন ব্যাটে বলে সমান পারফর্ম করা অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডই। ব্যাট হাতে ৩২ রানের পর বল হাতেও সফল হন এই দীর্ঘদেহি অলরাউণ্ডার। তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রানের বিনিময়ে নেন ২টি উইকেট। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নিজস্ব কোন মাঠ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় নিজেদের কয়েকটি মাঠই আফগানদের ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিয়েছে ভারত। দেরাদুনের পর এরই একটি মাঠ লক্ষ্ণৌয়ের ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। 

যে মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক আফগানিস্তান। ফলে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুজিবুর রহমানের ঘূর্ণির মুখে পড়ে উইন্ডিজ। চার বল মোকাবেলা করে ৪ রানেই বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্যারিবিয় ওপেনার ব্রান্ডন কিং। যাতে দলীয় ওই রানেই প্রথম উইকেট হারায় দলটি। 

এরপরই মূলত শুরু হয় লুইস শো। হেটমেয়ারকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৫৫ বলেই ৯১ রানের জুটি গড়েন মারকুটে এভিন লুইস। এসময়ে হেটমেয়ার মাত্র একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ২১ বলে সমান ২১ রান করে আউট হলেও ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন লুইস। চারটি চার পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২৬ বলেই পৌঁছে যান ফিফটির মার্কে। 

তবে এরপরই যেন কিছুটা শ্লথ হয়ে যায় ক্যারিবিয় ওপেনারের ব্যাট। পরে আরও ১৫টি বল খেললেও মাত্র একটি ছক্কা হাঁকাতে পারেন তিনি। যাতে যোগ করতে পারেন মাত্র ১৮টি রান। অর্থাৎ ৪১ বলে খেলে ৬৮ রান করা লুইস যখন আউট হন উইন্ডিজের দলীয় রান তখন দ্বাদশ ওভারে ঠিক ১০০।

লুইসের বিদায়ের পরই যেন কমে যায় পোলার্ড বাহিনীর রানের গতি। কেননা, পরের ৫০ বল থেকে আর মাত্র ৬৪ রান যোগ করতে পারেন রামদিন-পোলার্ডরা। অবশ্য এ সময়ে আউট হন এই দুই ব্যাটসম্যানই। রামদিন ১৯ বলে ২১ রানে এবং ২২ বল খেলা পোলার্ড আউট হন দুই চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করে। যাতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। 

স্পিনে দুর্বল হলেও এদিন উইন্ডিজের বিপক্ষে আফগানদের সফল বোলার ছিলেন পেসার গুলবাদিন নায়িব। ২৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া আরেক পেসার নাভিদ উল হক এবং স্পিনারদের মধ্যে মুজিবুর রহমান অ রশিদ খান ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন।  

এনএস/