ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বেড়েছে চালের দাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৩০ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

পেঁয়াজের অতিমাত্রায় দামে যখন চারদিকে হা হুতাশ চলছে ঠিক সেই সময়ই বেড়েছে চালের দাম। গত দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের কারণেই দাম বেড়েছে। তাদের অভিযোগ, চালের বাজার নিয়ে সিন্ডিকেট করছেন মিল মালিকরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে এসে দাম বেশি দেখে হতাশ হয়েছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, মিনিকেট ৫০ কেজি ২৩'শ থেকে ২৪'শ টাকায় বিক্রি করছে, যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। হঠাৎ করেই চালের বাড়তি দামের মুখে পড়েছেন তারা।  পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, চালের দাম কেজি প্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাদের। তাই বিক্রিতেও দর বেশি।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট চালের মোকামেও একই চিত্র। বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে চাল। এছাড়া চালের অর্ডার দিলেও দুই একদিন দেরি করে দিচ্ছে। আগে যেখানে অর্ডার দেয়ার প্রতিদিনের চাল প্রতিদিনই দিয়ে দিত।

কৃষি মার্কেটের রাজশাহী ট্রেডার্সের মালিক মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) মিনিকেটে ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকায়। শুক্রবার সেটি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৩৫০ টাকায়।’ একই মার্কেটের ‘আলী রাইস’-এর মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বুধবার মিনিকেট বিক্রি করেছি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। আজ বিক্রি করছি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।’

বিরি-২৮ চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি দুই দিন আগে। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। প্রতি কেজি স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়, আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বুধবার নাজিরশাল ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া ৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের ধান-চালের সবচেয়ে বড় মোকাম নওগাঁয় এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। আর বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। বিরি-২৮ জাতের ধানের সরবরাহ কমায় চালের দাম বেড়েছে। মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, পাইকারদের অভিযোগ, চালের বাজার নিয়ে সিন্ডিকেট করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলেন, ‘মিলমালিকরা চাল ছাড়ছে না। এক সপ্তাহ আগে চালের টাকা দিলেও এখনো তারা চাল দিচ্ছে না। দাম বাড়ানোর জন্যই মিলমালিকরা চাল দিতে চাচ্ছে না। সরকার কোন পদক্ষেপ না নিলে চালের দাম আরও বাড়বে।’

এদিকে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার রাজধানীতে মিশরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়। শুক্রবার সেই পেঁয়াজের পাইকারি দর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। আর উন্নত দেশি পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, সেটি আজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

এমএস/এসি