ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

স্নাতক ডিগ্রি পাচ্ছে ৯ বছরের লরেন্ট!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:২৫ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

বেলজিয়ামের একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ডিগ্রি দিতে যাচ্ছে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে। এই শিশুর নাম লরেন্ট সাইমন্স। আইনধোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে লেখাপড়া করে সে। এই কোর্সটি যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কঠিন, সেখানে মাত্র ৯ বছর বয়সেই ডিগ্রি লাভের যোগ্যতা অর্জন করেছে শিশু লরেন্ট! যা বিশ্বকে অবাক করেছে। ডিসেম্বর মাসে লরেন্টের স্নাতক সম্পন্ন হলে গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের রেকর্ড গড়বে সে। এই বিস্ময়কর বালক চারটি ভাষায় কথাও বলতে পারে।

লরেন্টের বাবা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে বলেছেন, স্নাতক সম্পন্ন করার পর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর পিএইচডি করতে চায় লরেন্ট। এর পাশাপাশি মেডিসিন নিয়েও লেখাপড়া করছে সে। লরেন্ট মাধ্যমিকের লেখাপড়া শেষ করেছে মাত্র আট বছর বয়সে। সব মিলিয়ে ১৮ মাস সময়ের মধ্যে মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ হতে যাচ্ছে লরেন্টের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিচালক জোয়ের্ড হালশফ বলেন, এটি অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক কারণেই এই সুযোগ পেয়েছেন থাকেন। তবে লরেন্ট স্রেফ অসাধারণ! আমরা এ পর্যন্ত যত শিক্ষার্থী পেয়েছি, লরেন্ট তাদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত সব শিখে ফেলেছে। সে শুধু অত্যন্ত মেধাবীই নয়, খুব অনুভূতিপ্রবণও। 

লরেন্টের এই কীর্তির কথা ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যে তাকে ভর্তি করানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে লরেন্টের পরিবার বলতে চায় না যে, সে কোথায় পিএইচডি করার কথা ভাবছে। 

লরেন্ট পিতা আলেক্সান্ডার বলেছেন, আমরা চাই না সে খুব সিরিয়াস হয়ে যাক। সে যা পছন্দ করবে তাই করুক। একজন শিশু ও তার প্রতিভার মধ্যে ভারসাম্য থাকা চাই। লরেন্ট তার পোষা কুকুর স্যামির সঙ্গে সময় কাটায় এবং ফোনে গেম খেলে অন্য শিশুদের মতোই। তবে সে নিজের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছে! তার ইচ্ছা কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করা।

তার মা লিডিয়া বলেন, অনেক আগে লরেন্টের দাদী ওর অনেক প্রশংসা করছিলেন। আর শিক্ষকরাও তার মধ্যে খুবই আশ্চর্যজনক কিছু গুণ দেখতে পান। তবে পরিবারের সদস্যরা বুঝে ‍উঠতে পারছেন না যে, কীভাবে লরেন্ট এত দ্রুত সব শিখতে পারে। অবশ্য লিডিয়া মজা করে বললেন, গর্ভাবস্থায় অনেক মাছ খেয়েছিলাম, সে কারণ হয়তো লরেন্ট এতো মেধাবী হতে পারে!

এএইচ/