ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

গৌতম গম্ভীর ‘নিখোঁজ’, ভারতজুড়ে তোলপাড়!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৬:৪৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

গৌতম গম্ভীরের নিখোঁজ পোস্টারে ছেয়ে গেছে দিল্লী

গৌতম গম্ভীরের নিখোঁজ পোস্টারে ছেয়ে গেছে দিল্লী

দিল্লির রাস্তায় জায়গায় জায়গায় চোখে পড়বে একটি ‘নিখোঁজ’ পোস্টার। পোস্টারের ছবিটি সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের। পোস্টারে লেখা, ‘আপনারা কি এই মানুষটিকে দেখেছেন? ওকে শেষ দেখা গিয়েছিল ইন্দোরে জিলেপি খেতে।’ 

সম্প্রতি দিল্লি দূষণ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কারণে পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরকে এভাবেই বিঁধেছে আম আদমি পার্টি।

দীপাবলির সময় থেকে দিল্লির দূষণ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে আকাশ। বাতাসের গুণগত সূচক একটানা বহুদিন ‘অতি বিপজ্নক’ হয়ে থেকেছে। সম্প্রতি পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও সব মহলই সমাধানসূত্র খুঁজছে। সেই কারণেই সংসদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। 

গত ৮ নভেম্বর বৈঠকে হাজির থাকার জন্য অনুরোধ করে লোকসভার সেক্রেটারিয়েট থেকে নোটিস পাঠানো হয় স্থায়ী কমিটির ২৯ জনকে।  

অথচ দেখা যায়, বৈঠকে ২৫ জনই গরহাজির। গরহাজিরদের তালিকায় ছিলেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। ছিলেন না তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে আসেননি দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তরুণ কপূর-সহ দিল্লি মিউনিসিপল কর্পোরেশনের বহু গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক। এত সদস্যের অনুপস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকই বাতিল হয়ে যায়।

বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরও। কারণ তিনি তখন ইনদওরে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের ধারাভাষ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

সেখানে তাঁর জিলিপি খাওয়ার ছবি ভাইরাল হয় শুক্রবারই। ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তাঁরই এক সময়ের সতীর্থ  ভিভিএস লক্ষ্মণ। তা নিয়েও গম্ভীরকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি আপ। আপের তরফে টুইটে লেখা হয়, ‘দিল্লি দম আটকে মরছে আর গৌতম গম্ভীর ইনদওরে মজা করছেন। ওঁর উচিত ছিল দিল্লিতে এসে দূষণ নিয়ে বৈঠকে হাজির থাকা।’ 

সেই আক্রমণ আটকাতে গম্ভীর পাল্টা লেখেন, ‘আমার কেন্দ্রের মানুষ আমার কাজ দেখে বিচার করবেন। দিল্লির ‘সৎ মুখ্যমন্ত্রী’-র চ্যালাদের করা অপপ্রচারে কাজ হবে না।’

আপাতত জোড়-বিজোর নীতিতেই দূষণ মোকাবিলার চেষ্টা করছে আপ। সোমবার তারা সুপ্রিম কোর্টকে জানাবে, এই নীতি আরও কতদিন চলবে। সূত্র- আনন্দবাজার। 

এনএস/