আবরার হত্যা: পলাতক ৪ আসামিকে গ্রেফতারে পরোয়ানা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নিয়ে পলাতক ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলার অভিযোগ (চার্জশিট) গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পলাতক চার আসামি হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ ইসলাম ও মোস্তফা রাফিদ। এদের মধ্যে শেষের জন এজাহারবহির্ভূত।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযোগ পত্রে ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন। এছাড়া এজাহারের বাহিরে ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্থাৎ, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৬০ জনকে। পাশাপাশি ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ২১ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু। এদের মধ্যে ১৬ জনের নাম হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ ছিল। বাকিদের নাম তদন্তে উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে উভয় দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এর জেরে গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
এআই/