ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমজমাট মাছের মেলা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৪ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

কালাইয়ের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

কালাইয়ের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বড় বড় মাছ আর হাজারো মানুষের সমাবেশে জয়পুরহাটের কালাইয়ে সোমবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই জেলার সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা কালাইয়ের পাঁচশিরা বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। 

অগ্রহায়ণ মাসে মাঠ থেকে নতুন ফসল কৃষকদের ঘরে উঠলেই নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেন উপজেলার সকল কৃষক। এই উৎসবমুখর অনুষ্ঠান উদযাপন করতে উপজেলার মানুষ তাদের ছেলে-মেয়ে, বন্ধু-বান্ধব, মেয়ে-জামায়, বিয়াই-বিয়াইন ও আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করেন। 

এ বছর ঐতিহ্যবাহী মাছের এ মেলাতে রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, মৃগেল, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস, ব্রিকেটসহ বিভিন্ন জাতের ৩ কেজি থেকে ১৮ কেজি ওজনের মাছের সমাগম হয়েছে। মাছের আকার ও পরিমাপ ভেদে এক একটি মাছের মূল্য প্রায় ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। 

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে এলাকার মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছ সংগ্রহ করেন এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি মানুষ সেইসব মাছ উচ্চ মূল্যে ক্রয় করেন। 

মেলায় মাছ বিক্রি করতে আসা নজরুল ইসলাম ও রেজাউল হক তারা বলেন, এক দিনের এই মাছের মেলাতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানান জাতের বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে বিক্রয় করা হয়। আজকের মেলায় ১২ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার টাকায় এবং ১৮ কেজি ওজনের ব্রিগেট মাছ বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার টাকায়। 

তারা আরও জানান, এ মেলায় ১০ কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকায়। ১৩ কেজি ওজনের কাতলা মাছ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার টাকায়। ১১ কেজি ওজনের মৃগেল মাছ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার টাকায় এবং ১৬ কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার টাকায়। 

এ মেলায় মাছ কিনতে আসেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। গত বছরের চেয়ে এবার অনেক ভাল মাছ বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তারা। 

মেলায় মাছ কিনতে আসা সড়াইলের মহসিন ও থুপসারার আলম বলেন, অন্য বছরের চাইতে এবার মাছের দাম একটু বেশী। তবে মেলায় বড় বড় মাছ দেখে মনটা বেশ খুশি। 

কালাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাকিবুর রহমান বলেন, এই মেলাকে উপলক্ষ্য করে মাছ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ আমদানী করে থাকেন। কেউ যেন বিষাক্ত মাছ বিক্রি করতে না পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।

এনএস/