ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মেজর (অব.) এম  এ জলিলের ৩০তম  মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৮৯ সালের ১৯ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া এ রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তা বরিশাল জেলার উজিরপুরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। তবে তিনি মেজর এম এ জলিল নামেই পরিচিত। তার পিতা জোনাব আলী চৌধুরী ও মা রাবেয়া খাতুন। উজিরপুর ডব্লিউবি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন থেকে ১৯৫৯ সালে তিনি মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের মারি ইয়ং ক্যাডেট ইনস্টিটিউশন থেকে আইএ পাস করেন এবং এর পাশাপাশি গ্রহণ করেন সামরিক শিক্ষা। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। পরে মুলতানে কর্মরত থাকাকালে তিনি ইতিহাসে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬২ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে ট্রেনি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। সামরিক বাহিনীতে চাকুরিরত অবস্থায় তিনি বি.এ পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং ১২নং ট্যাঙ্ক ক্যাভালরি রেজিমেন্ট অফিসার হিসেবে তৎকালীন পাক-ভারত যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে বরিশালে আসেন এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের সময়ে তিনি কাজ করেছিলেন। তিনি ছিলেন এ দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীকালে তিনি জাসদ ত্যাগ করে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে একটি দল গঠন করেন।

লেখালেখিও করতেন তিনি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সীমাহীন সময় (১৯৭৬)’, ‘দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শন, সূর্যোদয় (১৯৮২)’, ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা (১৯৮৯)’ এবং ‘Bangladesh Nationalist Movement for Unity: A Historical Necessity’।

১৯৮৯ সালের ১৯ নভেম্বর রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২২ নভেম্বর তার মৃতদেহ ঢাকায় আনা হয় এবং সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়।
এসএ/