ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নেদারল্যান্ডসের নাইটহুড খেতাব পেলেন ফজলে হাসান আবেদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

নেদারল্যান্ডসের রাজার পক্ষ থেকে নাইটহুড-‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ। দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও শিশু উন্নয়নে তার ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এই খেতাব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় স্যার ফজলে আবেদের গুলশানস্থ বাসভবনে রাজা কিং উইলেম আলেকজান্ডার অব দ্য নেদারল্যান্ডসের পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েইজ এই খেতাবের মর্যাদাসূচক পরিচয়চিহ্ন হস্তান্তর করেন। 

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ভেরওয়েইজ বলেন, এই খেতাবের পরিচয়চিহ্ন পৌঁছে দিতে পেরে আমি গৌরবান্বিত বোধ করছি। আপনি জীবনজুড়ে মানুষের মর্যাদা, প্রতিকূলতা মোকাবিলার সামর্থ্য, নিষ্ঠা এবং অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধের সপক্ষে কাজ করেছেন। এই মূল্যবোধগুলোর ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাকের সফল বিকাশ ঘটেছে। 

নেদারল্যান্ডস ও ব্র্যাকের মধ্যে দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ব্র্যাকের সব কার্যক্রম ও ব্যবসা উদ্যোগ পরিচালনায় নারীর ক্ষমতায়ন একটি মূলনীতি হিসেবে কাজ করে আসছে, যা বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে প্রশংসিত। দারিদ্র্য বিমোচনে ব্র্যাকের কাজ নেদারল্যান্ডসসহ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।

স্যার ফজলে আবেদ নেদারল্যান্ডসের রাজাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সম্মাননা অসামান্য মর্যাদার বিষয়। নেদারল্যান্ডস কয়েক দশক ধরে ব্র্যাকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সমর্থক। দশ বছর আগে সেখানে ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে। এই রাজকীয় স্বীকৃতি সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বেরই সাক্ষ্য দেয়। ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম প্রসারিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারব বলে আশা করি। আমাদের এই যৌথ প্রয়াস বিশ্বে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

প্রসঙ্গত, দারিদ্র্য বিমোচনে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফজলে হাসান আবেদ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের রানি কর্তৃক ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হন। গতকাল ব্র্যাকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।