ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘সম্প্রচার আইন’ সাংবাদিকদের চাকরির সুরক্ষা দেবে: তথ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত ‘সম্প্রচার আইন’ ব্রডকাস্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও কর্মীদের আইনী সুরক্ষা দেবে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁয়ে বেঙ্গল মিডিয়া স্টুডিওতে এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘আসুন আমরা টেলিভিশন শিল্পকে রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করি। এই সম্প্রচার আইন পাস হলে আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে ব্রডকাস্ট মিডিয়া সেন্টার (বিজেসি) এবং বেসরকারি চ্যানেল আরটিভি যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ব্রডকাস্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা এবং তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সেক্টরে এক বিরাট বিপ্লব ঘটে গেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও এর হার কমে যাওয়াসহ কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার টিকে থাকার জন্য এখন সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ থেকে আমাকে সার্বিক সমর্থন দিতে হবে। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদের সুরক্ষা দেয়া আমাদের দায়িত্ব।’

সম্প্রচার মাধ্যমের ডিজিটালাইজেশন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সেক্টরের ডিজিটালাইজেশনের পর দেশের এই মাধ্যম এবং এর কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পর ইলেক্ট্রেনিক মিডিয়ায় শৃংখলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সেক্টরে কোন রকম অনিয়ম দেখা গেলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাছাড়া সম্প্রচারে যাওয়ার তারিখ অনুযায়ী বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল সংরক্ষণ করছে ক্যাবল অপারেটরগণ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কতিপয় টিভি চ্যানেল বাংলায় ডাবিংকৃত বিদেশি টিভি সিরিয়াল সম্প্রোচার করছে- যা গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে ডাবিংকৃত সিরিয়াল সম্প্রচারে সরকারের অনুমোদন নেয়ার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জারি করেছে। বিষয়টি দেখার জন্য শিগগিরই একটি প্রাক-প্রচার নিরীক্ষণ কমিটি গঠন করা হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের কল্যাণে উদ্যোগ নিয়েছি। এই উদ্যোগের ফলে গণমাধ্যমে মোটামুটি শৃংখলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইলেক্ট্রোনিক মাধ্যমে শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করতে সরকার ইতোমধ্যে বহু পদক্ষেপ নিয়েছে।’

টেলিভিশনকে জাতি গঠনের অন্যতম মাধ্যম অভিহীত করে হাছান মাহমুদ বেসরকারি টিভি মালিকদের প্রতি তরুণ প্রজন্মের জন্য দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন বিষয় নিয়ে প্রোগাাম তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কারণ তরুণরাই দেশের ভবিষ্যত।
তিনি বলেন, ‘সমাজকে বাঁচাতে দেশের আগামী দিনের নেতা শিক্ষার্থীদের মননে মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের প্রবেশ ঘটাতে হবে।’

অনুষ্ঠনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার’র (বিজেসি) সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিন’র সম্পাদক নইম নিজাম প্রমুখ।

সেমিনারে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. এজেডএম শফিউল আলম ভুইয়া। বাসস

এমএস/এসি