ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ধান বেচাকেনায় অ্যাপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২০ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ধান বেচাকেনায় এবার ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে। স্মার্টফোন ব্যবহার করে কৃষক ঘরে বসেই 'কৃষকের অ্যাপ'-এর মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারবেন।

নিবন্ধন, বিক্রয়ের আবেদন, বরাদ্দের আদেশ ও মূল্য পরিশোধের সনদ- সব তথ্যই মিলবে এসএমএসের মাধ্যমে। আগামী বোরো মৌসুমে চালও বেচাকেনা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এতে সময়, খরচ ও হয়রানি- সবই কমবে এবং প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।

জানা যায়, 'কৃষকের অ্যাপ' ব্যবহারের জন্য শুরুতেই এটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড করতে হবে। এর পর জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করে সরকারি গুদামে ধান বিক্রির আবেদন করা যাবে। নিবন্ধনের দিন থেকেই কৃষক ধান বিক্রির আবেদন করতে পারবেন। প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া ডিজিটাল মাধ্যম কৃষকের অ্যাপে নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৭ ডিসেম্বর।

ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। এ বিষয়ে কৃষক সার্বিক সহযোগিতা পাবেন কাছের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের কাছে। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকের তালিকা তৈরি হবে লটারির মাধ্যমে। এর পর সংশ্নিষ্ট উপজেলায় ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ও কৃষকের সংখ্যার ভিত্তিতে উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি ধান কিনবে।

তবে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী একজন কৃষকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১২০ কেজি (তিন বস্তা) এবং সর্বোচ্চ তিন টন (সাড়ে ২৭ মণে এক টন ধরা হয়) ধান কেনা যাবে। কৃষকের ধানের মূল্য তার নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৬ জেলার ১৬টি উপজেলায় শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম।

এ জন্য সংশ্নিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কৃষি কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ প্রতি উপজেলায় আট কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আসন্ন আমন মৌসুমে পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রম সফল হলে আগামী বোরোতে অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ধান কেনা হবে। কমপক্ষে ৬৪ জেলার ৬৪টি উপজেলায় এভাবে ধান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চালও বেচাকেনা শুরু হবে।

কতজন কৃষকের কাছ থেকে কী পরিমাণ ধান কেনা হবে- জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সংশ্নিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।