ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ইডেনে গোলাপি বলেও ম্লান বাংলাদেশ

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১০:৩৩ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

পাঁচ উইকেট শিকারি ইশান্তকে ঘিরে ভারতীয়দের উল্লাস

পাঁচ উইকেট শিকারি ইশান্তকে ঘিরে ভারতীয়দের উল্লাস

টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে খেলতে নেমেই ভারতের পেস তোপে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। যাতে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৪। অর্থাৎ ইতোমধ্যেই ৬৮ রানের এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

ইন্দোর টেস্টের মতোই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঐতিহাসিক ইডেনে টস জিতে আবারও আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়কের এ সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হতে বেশি সময় লাগেনি। ১৭ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। 

প্রথমবারের মতো ইডেন গার্ডেনসে ও গোলাপি বলে খেলতে নামা টাইগারদের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ৩০ ওভার তিন বল। যাতে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয় মুমিনুল হকরা। যেখানে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছেন মুমিনুল, মিঠুন, মুশফিকসহ চারজন। 
 
বাংলাদেশের ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানই ছিল ২৯। যা আসে ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিকের ব্যাট থেকে। একপর্যায়ে ৬০ রানে ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভালো খেলছিলেন লিটন দাসও। তবে মোহাম্মদ শামির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে অবসর নেয়ার পরে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যান তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে করেন ২৪ রান। তার বদলি হিসাবে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৮ রান। 

আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে ইশান্তের শিকার হওয়া নাইম হাসানের ব্যাট থেকে। এই তরুণও শামির বলে আঘাত পেয়েছিলেন। তিনিও আর পরে মাঠে নামতে পারেননি। তার বদলি হিসাবে খেলছেন তাইজুল ইসলাম।

ভারতের বোলারদের মধ্যে এদিন ত্রাস ছড়ান পেসাররাই। যাতে জাদেজার একটি মাত্র ওভার ছাড়া হাত ঘোরাতেই হয়নি অশ্বিনের। ফলে টাইগারদের দশটি উইকেটের সবকটিই ভাগাভাগি করে নেন ভারতীয় পেস ত্রয়ী ইশান্ত শর্মা, উমেশ জাদব ও মোহাম্মদ শামি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ত্রাস সৃষ্টি করে ক্যারিয়ারে ষষ্টবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেন ইশান্ত। বাকি পাঁচ উইকেটের মধ্যে উমেশ তিনটি ও শামি দুটি করে ভাগ করে নেন। 

জবাবে সন্ধ্যায় ব্যাটিং করতে নামা ভারতের দুই ওপেনারকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে সমর্থ হন বাংলাদেশের বোলাররা। মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে ( ১৪) ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন আল-আমিন হোসেন। আর রোহিত শর্মাকে ২১ রানে আউট করেন এবাদত হোসেন।

তবে তৃতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের রান টপকে যান বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা। দলীয় ১৩৭ রানে ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি পাওয়া পূজারাকে (৫৫) ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন এবাদত।

তবে অন্যপ্রান্তে টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার পাশাপাশি নিজের ২৩তম ফিফটিও তুলে নেন কোহলি। দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রান নিয়ে। সঙ্গে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন আজিঙ্কা রাহানে।

এনএস/