ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ইডেন টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন লিটন-নাঈম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

প্রথমবারের মত গোলাপি বল খেলতে নেমে ফ্লাড লাইটের আলো জ্বলে ওঠার আগেই ফুরিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ৩০ দশমিক ৩ ওভারে ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় মুমিনুল-মুশফিকরা। 

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে টাইগাররা। এদিন বল রুখে দেয়ার চেয়ে শরীর বাঁচাতেই যেন তৎপর বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। 

ম্যাচ শুরুর আগে জানা গিয়েছিল উইকেট সুইং ও বাউন্সি হবে। স্পিনের চেয়ে পেসাররাই এখানে মূল ভূমিকা পালন করবে। হয়েছেও তাই। জাদবের এক ওভার করালেও, অশ্বিনকে নামানোর কোনো প্রয়োজনই হয়নি কোহলিদের। পেসাররাই ভাগাভাগি করেছেন ১০ উইকেট।

এদিন শুরুতেই সুইং আর বাউন্সে মুমিনুল, মিঠুন ও মুশফিক ফিরেছেন শূন্য রানে। আর লাফিয়ে ওঠা বল সামাল দিতে না পেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই ব্যাটসম্যানকে। আর এতে করেই টাইগার শিবিরে বইছে দুঃসংবাদ। মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন তারা। 

ম্যাচের আগে লিটনের গোলাপি বল খেলা নিয়ে সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল। ফলে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পান মোহাম্মাদ মিঠুন।

ইনিংসের ২১ তম ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে মাথায় আঘাত পান লিটন দাস। আর এতেই তাকে যেতে হয় হাসপাতালে। পরে আর ব্যাট করতে পারেননি তিনি। 

লিটনের আহত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই পরের ওভারেই মোহাম্মাদ শামির বলে এবার আঘাত প্রাপ্ত হন নাঈম হাসান। এ দুই বোলারের বাউন্সি বল খেলতে বেশ ভুগতে হয়েছে তাদের। আহতাবস্থায় খেলা চালিয়ে যান নাঈম।

পরে আউট হলে তাকেও নেয়া হয় হাসপাতালে। চোট এতটাই গুরুতর যে তাদের দু’জনকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। দু’জনেরই সিটি স্কান করা হয়েছে। বর্তমানে তারা বিশ্রাম নিচ্ছেন। 

‘কনকাশন রিপ্লেসমেন্ট’ হিসাবে লিটনের জায়গায় নামেন স্পিনার মেহদি হাসান মিরাজ আর নাঈমের জায়গায় তাইজুল ইসলাম। 

আইসিসির নিয়ম বলছে, মাথায় আঘাত লাগলে বদলি খেলোয়াড় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন দলের ফিজিও। তবে, দুই ক্রিকেটারকে অবশ্যই একই মানের হতে হবে। তাতে ম্যাচ রেফারির অনুমোদন থাকবে। 

ফলে, নাঈমের বদলি হিসেবে তাইজুল বল করার অনুমতি পেলেও লিটনের বদলি নামা মিরাজ বল করতে পারবেন না।  

এআই/